সৌজন্য জানেন না রাজ্যপাল! শ্রদ্ধা, সম্মানের পাঠ নিয়ে ধনখড়কে কটাক্ষ তৃণমূলের
সৌজন্য জানেন না রাজ্যপাল! শ্রদ্ধা, সম্মানের পাঠ নিয়ে ধনখড়কে কটাক্ষ তৃণমূলের
দিল্লিতে রাজ্যপাল (governor) ধনখড়ের (jagdeep dhankhar) সফর তিনদিনের জন্য হলেও, পরে আরেকদিন বেড়ে যায়। ১৫ জুন রাজ্যপাল দিল্লিতে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান একাধিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এদিন তৃণমূল (trinamool congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (kunal ghosh) রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়া রাজ্যপালের একটি ছবি প্রকাশ করে তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে 'সপরিবারে' আলোচনা
রাজ্যপাল গিয়েছিলেন দিল্লি সফরে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সবার কাছেই তাঁর মূল অভিযোগ ভোট পরবর্তী হিংসা। তা নিয়েই তিনি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের যে চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজ্যপালের আলোচনায় উপস্থিত রয়েছেন, রাজ্যপালের পত্নী সুদেশ ধনখড়ও। প্রশ্ন উঠছে, যদি রাজ্যপাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নোট জমা দিতেই যান, তাহলে সেখানে কেন উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যপালের পত্নী। বিষয়টিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে 'সপরিবারে' আলোচনা বলে কটাক্ষ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির দিকে পা তুলে বসে রাজ্যপাল
একইসঙ্গে কুণাল ঘোষের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির দিকে মুখ করে কথা বলছেন। কিন্তু সেই সময় রাজ্যপালের ডান পা রাষ্ট্রপতির দিকে তোলা অবস্থায়। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়ে কুণাল বলেছেন, নেমতন্ন নাকি? তাও আবার মহামহিমের দিকে পা তুলে? শ্রদ্ধা, সম্মানের ঐতিহ্য, রীতিনীতিটা অন্তত মনে রাখুন।
রাজ্যপালের নিশানায় রাজ্য
শনিবার রাজ্যপাল অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর এই সফরে দ্বিতীয়বারের জন্য বৈঠক করেন। সেই বৈঠত থেকে বেরিয়েই তিনি ফের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ভোটের পর বহু মানুষ রাজনৈতিক হিংসার শিকার। অনেকে ঘরছাড়া রয়েছেন। একদিকে যেমন অনেকে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না, আবার অনেকে জরিমানা দিয়ে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। স্বাধীনতার পরে ভোট পরবর্তী হিংসা কোনও রাজ্যে দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দিল্লি ছাড়ার আগে তিনি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বলেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র, সংবিধান এবং আইনের শাসনের ওপরে বিশ্বাস রাখা বিশেষভাবে জরুরি।
মহুয়া টুইট করে বলেছিলেন আঙ্কেলজি মিটস দাদু
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যপালকে কোনও বিষয় নিয়ে আক্রমণ করলেই পাল্টা আক্রমণ করতে দেখা যায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। তৃণমূল সাংসদ রাজ্যপালকে আঙ্কেলজি বলেই সম্বোধন করেন। রাজ্যপাল এবারের দিল্লি সফরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন। যা নিয়ে কটাক্ষ করে মহুয়া টুইট করে বলেছিলেন, আঙ্কেলজি মিটস দাদু। এখানে দাদু হলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
সৌমিত্র খাঁ কি জড়িয়ে পড়লেন নতুন কোনও সম্পর্কে, কী বলছেন সুজাতা