তৃণমূল কংগ্রেসের ‘দাপুটে নেতা’র দলত্যাগ একুশের আগেই! নয়া ঘোষণায় জোর জল্পনা
তৃণমূলের ‘দাপুটে নেতা’র দলত্যাগ একুশের আগেই! নয়া ঘোষণায় জোর জল্পনা
তৃণমূল কংগ্রেসে বিদ্রোহের আগুন জ্বেলেছিলেন মাস কয়েক আগেই। তারপর জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরের নেতাদের আনাগোনাও তাঁকে ফেরাতে পারল না। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ জারি রেখেই তিনি একপ্রকার দল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রাখলেন। সাফ জানিয়ে দিলেন, জানুয়ারিতেই অবস্থান জানিয়ে দেবেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা।
‘জানি না আর কতদিন থাকতে পারব দলে’
তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা মোহন বসুর কথায়, দলটাকে আমি নিজের ঘর বলে মনে করি। কিন্তু এই দলটা এখন নিজের বলে মনে হচ্ছে না। তাই জানি না আর কতদিন থাকতে পারব দলে। দলে কর্মী সম্মেলন হচ্ছে, কিন্তু আমি সেখানে যাচ্ছি না। তবে যাই করি, জানুয়ারি মাসেই তিনিই নিজের অবস্থান জানিয়ে দেব, বললেন মোহনবাবু।
পার্টি ছাড়ব, হয়তো রাজনীতিও! জল্পনা
দলের প্রতি চরম অনাস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। তাই আমি অন্য দলে যাব না। প্রয়োজনে আমি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে পারি। আমার কিছু শারীরিক সমস্যাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও এই দলটার জন্য প্রাণপণ করেছি, কিন্তু দলের নেতারা সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না জেলায়। তাই পার্টি ছাড়ব, হয়তো রাজনীতিও।
তৃণমূলের ভবিষ্যৎ দেখে কষ্ট হচ্ছে, রুখবে কে
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহনবাবু বলেন, জেলা কমিটি শুধু আমাকে নিয়ে নয়, আরও অনেকে আছেন। আমি মানুষকে নিয়ে চলা লোক। কিন্তু চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি দলটা থেকে সরে যাচ্ছেন মানুষ। তাই কষ্ট হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে দলটার ভবিষ্যৎ জেলায় কী হতে চলেছে। এটা এখনই রুখে দেওয়া দরকার। কিন্তু কে করবে সেই কাজ। তিনি গুরু দায়িত্ব পাওয়ার পরেও তাই বিদ্রোহীর ভূমিকা নিয়েছেন।
মমতাও নেভাতে পারলেন না বিদ্রোহের আগুন
বিদ্রোহের আগুন নেভাতে পারলেন না খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি নিজে হাতে কমিটি গড়ে বিক্ষুব্ধদের স্থান করে দেওয়ার পরও দলের মধ্যে কোন্দল অব্যাহতই রয়েছে। প্রবীণ তৃণমূল নেতা এককাট্টা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। তিনি অনড় সভাপতির অপসারণের দাবিতে। ফলে জলপাইগুড়ি তৃণমূলে অব্যাহত রয়েছে কোন্দল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া পদকেও অবমাননা!
প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু সাফ জানিয়েছেন, তিনি বিধানসভা ভিত্তিক দলের কোনও কর্মী সম্মেলনে যাবেন না। তাঁর এই বিদ্রোহ জারির পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি তিনি তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও অস্বীকার করছেন। তিনি যে পদ দিয়েছেন তাঁর অবমাননা করছেন।
তৃণমূলের কমিটিতে বিদ্রোহী নেতাদেরও স্থান, তবু...
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপিকে ঠেকাতে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুঝিয়ে দেন আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল শিকেয় তুলে কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়তে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ জেলা কমিটিতে রাখা হয়েছে বিদ্রোহী নেতা মোহন বসুকে। তাঁকে সহ সভাপতি করা হয়েছে জেলার।
তৃণমূলে পদ পেয়েও 'বিদ্রোহ’ জারি, ২০২১-এর নির্বাচনের আগে একহাত সভাপতিকে
{quiz_384}