বিজেপির পতাকা হাতে গ্রাম ঘুরছেন তৃণমূল সভাপতি! ‘আজব’ এ দৃশ্যের সাক্ষী খানাকুল
বিজেপির পতাকা হাতে গ্রাম প্রদক্ষিণ করলেন তৃণমূলের সভাপতি। এমন আজব দৃশ্য দেখা গেল হুগলির খানাকুলের দুর্গাপুর গ্রামে। কিন্তু কেন এমন ঘটনা?
বিজেপির পতাকা হাতে গ্রাম প্রদক্ষিণ করলেন তৃণমূলের সভাপতি। এমন আজব দৃশ্য দেখা গেল হুগলির খানাকুলের দুর্গাপুর গ্রামে। কিন্তু কেন এমন ঘটনা? না, এটা কোনও দলবদলের ঘটনা নয়। এটা শাস্তি। তৃণমূল সভাপতিকে শাস্তির নিদান দিল বিজেপি। তৃণমূলের ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি জাতীয় পতাকা ও বিজেপির পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ।
খানাকূলের তাঁতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি পালন করছিল বিজেপি। সেইসময় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি রঞ্জিত শাসমলের মদতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বিজেপি অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দেয়। তারা জাতীয় পতাকারও অবমাননা করে বলে অভিযোগ।
তেরঙ্গা ছিঁড়ে দেওয়া, বিজেপির পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া ও বিজেপি কর্মী বিকাশ সামন্তকে মারধরের অভিযোগ ওঠে রঞ্জিত শাসমল ও তৃণমূল কর্মী আশিস সামন্তের বিরুদ্ধে। তৃণমূল ওই দুই নেতা-কর্মী এরপর ধরা পড়ে যান বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে। রঞ্জিত ও আশিসকে পাল্টা মারধর করা হয়।
মারধরেই অবশ্য শাস্তির মেয়াদ ফুরায়নি। এরপর দুজনের হাতেই ধরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির ফ্ল্যাগ। গোটা গ্রাম ঘোরানো হয় তাদের। খানাকুল থানায় দুই নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগও দায়ের করা হয়। তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি রঞ্জিত শাসমল বলেন, তৃণমূল এই ঘটনায় জড়িত নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বাড়িতে শ-পাঁচেক লোক এসে হামলা চালাল। জাতীয় পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।