তৃণমূল কংগ্রেসে মোহভঙ্গ! ন-মাসেই ভোলবদলে বিজেপিতে যোগ প্রধানের, পঞ্চায়েতের হাতবদল
তৃণমূলে মোহভঙ্গ! ন-মাসেই ভোলবদলে বিজেপিতে যোগ প্রধানের, পঞ্চায়েতের হাতবদল
মাত্র ন-মাস। ভোলবদলে ফের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে ফিরলেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। এক লহমায় পরিবর্তন হয়ে গেল পঞ্চায়েতের রং। নীল-সাদা থেকে গেরুয়া হল মালদহের পঞ্চায়েত। এই দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে তৃণমূলের থেকে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল বিজেপি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি
২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। ১৩ আসনের পঞ্চায়েতে ৯টি দখল করেছিল গেরুয়া শিবির। বাকি চারটি আসন লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই বিজেপি বোর্ড গঠন করে পঞ্চায়েতেন। কিন্তু ৯ মাস আগে আচমকাই বদলে যায় চিত্রটা। বিজেপির হাতছাড়া হয় পঞ্চায়েত।
৯ মাস আগে হাতবদলে তৃণমূলের বোর্ড
২০১৯-এর নভেম্বর ভাবুক পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মীরাম হাঁসদা-সহ চার বিজেপি সদস্য যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় আট। বিজেপির কমে দাঁড়ায় পাঁচ। ক্ষমতা বদল হয় পঞ্চায়েতের। বিজেপির হাত থেকে তৃণমূলের হাতে আসে পঞ্চায়েত। তাও স্থায়ী হল না, ফের উলটপুরান ঘটিয়ে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল বিজেপি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে, ফের হাতবদল
এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ফিরলেন তিনজন সদস্য। তার মধ্যে রয়েছেন প্রধান লক্ষ্মীরাম হাঁসদাও। ন-মাসের মধ্যেই এই দলবদলের ফলে এই পঞ্চায়েতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় আট। তৃণমূল পাঁচ। পঞ্চায়েতের দখল ফের বিজেপির হাতে চলে আসে। তৃণমূলকে হটিয়ে পঞ্চায়েত দখল ২০২১-এর আগে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিজেপি।
বিজেপি-যোগে পারস্পরিক চাপানউতোর
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রধান লক্ষ্মীরাম হাঁসদা বলেন, ভুল বুঝে গিয়েছিলাম তৃণমূলে। তৃণমূলে গিয়ে ভুল করেছিলাম। তাই পুরনো দলে ফিরে এলাম। তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, প্রধান লক্ষ্মীরাম হাঁসদাকে অপহরণ করে দলবদল করানো হয়েছে। পঞ্চায়েত দখল করচে এটা বিজেপির নোংরা রাজনীতি বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূলের দুলাল সরকার।
মুকুল বিজেপিকে 'শর্ত’ দিলেন! ২০২১-এর নির্বাচনের আগে ফের জল্পনার পারদ চড়ল