প্রার্থী করেনি দল, ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ তৃণমূল সহসভাপতির
তৃণমূল প্রার্থী করেনি, তাই ভোটের মুখে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি অশ্বিনীকুমার মজুমদার।
তৃণমূল প্রার্থী করেনি, তাই ভোটের মুখে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি অশ্বিনীকুমার মজুমদার। মঙ্গলবার বালুরঘাটের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার। পাঁচ শতাধিক কর্মীদের নিয়ে অশ্বিনীর এই দলত্যাগে পঞ্চায়েতের আগে শক্তি বাড়াল বিজেপি।
[আরও পড়ুন: বাংলায় গণতান্ত্রিক বিপর্যয়ে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মমতা, তোপ অধীরের]
এই অশ্বিনীকুমার মজুমদার জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলে। এর আগে ২০০৩ ও ২০০৮ সালে জেলা পরিষেদর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে আসনটি সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। কিন্তু এবার ২০১৮ সালে তাঁকে দল প্রার্থী করেনি। তাতেই বেঁকে বসেন অশ্বিনীকুমার।
আসনটি অসংরক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে প্রার্থী না করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের কাছে তিনি আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু তিনি অশ্বিনীকুমারের আবেদন খারিজ করে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীরকুমার রায়কে প্রার্থী করেন। তারপরই তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। হাইকোর্টে পঞ্চায়েত জট যখন প্রলম্বিত হচ্ছে, তখন বিজেপিতে যোগ দিয়ে নতুন করে বার্তা দিলেন তৃণমূলকে।
অশ্বিনীর যোগদানে বিজেপি জেলা সভাপতি বেজায় খুশি। তাঁর যোগদানে দলের শক্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন তিনি। এবার এই আসনে তৃণমূলকে যে তারা বেকাদায় ফেলবে, তা নিশ্চিত।
তিনি এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, তৃণমূল দলটায় ঘুন ধরে গিয়েছে। অসময়ে যাঁরা দলের সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা আর এখন সম্মান পান না। তাঁরা দুর্দিনের কর্মী হয়েই রয়ে যান। আমারও সেই অবস্থা হয়েছে। এবার তাই জবাব দেওয়ার পালা।
[আরও পড়ুন: কল্যাণের আড়াই ঘণ্টা সওয়াল, মনে রাখতে পারলে নোবেল পেতাম, বিদ্রুপ অধীরের]