কৃষ্ণেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সঙ্কটে, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রাধান্য ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’কে
কৃষ্ণেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সঙ্কটে, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রাধান্য ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’কে
বর্তমান বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষ নাকি প্রাক্তনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী! তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এখন যাঁকে প্রার্থী না করা হবে, তাঁরই গোঁসা হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে বোঝানোর পরও তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে। তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহারে নানা প্রশ্ন উঠে পড়েছে।
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা
প্রশ্ন উঠে পড়েছে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহারের পর প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তৃণমূল তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে। তাঁর নাছোড়বান্দ মনোভাবই কি দায়ী তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার জন্য। কারণ তিনি বিধানসভার টিকিট পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়ছেন। তা থেকে তিনি সরে আসতে চান না।
দলবদলেও টিকিট পাবেন কি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ?
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ দলবদলে আগ্রহী শুধু টিকিট পাওয়ার জন্য। কিন্তু সমস্যা হল বিজেপি বা কংগ্রেস তাঁকে নিতে উৎসাহী নয়। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব একেবারেই চাইছে না কৃষ্ণেন্দুকে দিলে নিতে। কংগ্রেসেরও তথৈবচ অবস্থা। তাহলে কোথায় যাবেন তিনি। এই অবস্থায় কৃষ্ণেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে।
নীহাররঞ্জনেই আস্থা দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস
বিতর্কের মূলে ইংরেজবাজারের প্রার্থীপদ। তৃণমূল কাকে অগ্রাধিকার দেবে, তা নিয়েই চাপানউতোর শুরু হয়েছে। আর এক্ষেত্রে দল যে নীহাররঞ্জন ঘোষকেই যে প্রাধান্য দিচ্ছে, তা বুঝতে পেরেছেন কৃষ্ণেন্দু। নিহাররঞ্জনবাবু এর আগে কৃষ্ণেন্দুকে হারিয়েই বিধায়ক হয়েছিলেন। তখন নিহারবাবু ছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী। আর কৃষ্ণেন্দু ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী।
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে আগে দুবার হারিয়েছেন নিহাররঞ্জন
নিহাররঞ্জন ও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ উভয়েই তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন। ফলে সংঘাত চরমে উঠেছে প্রার্থীপদ নিয়ে। কাকে প্রার্থী করবে দল, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। নিহারবাবু পুরসভা নির্বাচনেও কৃষ্ণেন্দুকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর বিধানসভাতেও নিহাররঞ্জনের কাছে ধোপে টেকেননি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ। স্বভাবতই বর্তমান বিধায়ককেই প্রার্থীপদে অগ্রাধিকার দিয়েছে তৃণমূল।
কৃষ্ণেন্দুর দলবদলের ভাবনা প্রার্থীপদে থ না পেয়ে
এই অবস্থায় কৃষ্ণেন্দু বিজেপিতে বা কংগ্রেস যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণেন্দুকে নিয়ে নিজে বৈঠক করে এসেছেন। তাঁকে বুঝিয়ে এসেছেন। তারপরও মালদহের ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে কে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে জট পাকিয়ে কৃষ্ণেন্দু নিজেই দূরত্ব তৈরি করছেন। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, কৃষ্ণেন্দু বিজেপিতে বা কংগ্রেস যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন।
সাতের আগেই হতে পারে বাংলায় নির্বাচন ঘোষণা, কত দফায় ভোট বাংলায়