তৃণমূলে প্রাক্তন মন্ত্রী বনাম বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, একুশের নির্বাচনের মুখে ভাঙন জল্পনা
তৃণমূলে প্রাক্তন মন্ত্রী বনাম বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, একুশের নির্বাচনের মুখে ভাঙন জল্পনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহ সফরের পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার হতে হল তৃণমূলকে। এবার দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের হুমকি দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তনমন্ত্রী তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। যাঁর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি আর কেউ নন দলেরই বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।
পুলিশ সামনেই প্রাক্তনমন্ত্রীকে হুমকি বিধায়কের!
কৃষ্ণেন্দু অভিযোগ করেন, পুলিশ সামনেই তাঁকে হুমকি দিয়েছেন নীহার। সেই হুমকির ভিডিও ফুটেজ তাঁর কাছে রয়েছে বলেও দাবি কৃষ্ণেন্দুর। তিনি পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই হুমকির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। নীহাররঞ্জন প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে এই ঘটনায় যে ফের কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ ও নীহাররঞ্জনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে তা বলাই যায়।
দুই নেতার কোন্দলে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে
বুধবার মালদহের ইংরেজবাজারের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছে্ন আইনি পদক্ষেপের। ফলে দুই নেতার কোন্দলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মুখে একেবারে সামনে চলে এসেছে। কৃষ্ণেন্দু অভিযোগ করেছেন, নীহার বলেছে আমার বাড়িতে ঢুকে টেনে বার করে মার্ডার করে দেবেন।
নীহারের বাড়িতে হামলা, কৃষ্ণেন্দুর নামে অভিযোগ
কৃষ্ণেন্দুর অভিযোগ, পুলিশের সমনেই একথা বলেছেন নীহাররঞ্জন। পুলিশের উচিত ছিল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা। কিন্তু পুলিশ তা করেনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নীহারের বাড়িতে সোমবার রাতে একটা হামলা হয়। সেই হামলার পিছনে কৃষ্ণেন্দুর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন নীহাররঞ্জন ঘোষ। কৃষ্ণেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন ইংরেজবাজার থানায়।
কৃষ্ণেন্দুর ভাবমূর্তি কলুষিত হলে লাভ নীহারের
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। কৃষ্ণেন্দু জানিয়েছেন, তাঁকে খুনের হুমকির পিছনে অন্য কোনও রাজনীতি নেই। তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নীহাররঞ্জন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাবমূর্তি কলুষিত হলে ব্যক্তিগত লাভ হবে নীহাররঞ্জনের, এটুকুই যা রাজনীতি।
বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নীহাররঞ্জনের!
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের থেকেও বড় স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে নীহাররঞ্জনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় জনস্রোত দেখেছেন নীহার। তা দেখার পরই নীহাররঞ্জন এখন হুমকি দিতে শুরু করেছে। কৃষ্ণেন্দু বলেন, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নীহাররঞ্জনের। মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখেন নীহারের সঙ্গে।
যশকে নিয়ে এসে চমকের যুদ্ধে মাস্টারস্ট্রোক মুকুলদের! তৃণমূলের 'স্টারডাম'কে কীভাবে নিশানা করছে বিজেপি