মমতা বললেই পদত্যাগ! ‘ধান্দাবাজ’দের ঘরওয়াপসি নিয়ে বেসুরো তৃণমূলের বিধায়ক
মমতা বললেই পদত্যাগ! ‘ধান্দাবাজ’দের ঘরওয়াপসি নিয়ে বেসুরো তৃণমূলের বিধায়ক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেই পদত্যাগ করতে প্রস্তুত তৃণমূলের বিধায়ক। কিন্তু কেন তিনি পদত্যাগ পর্যন্ত করতে প্রস্তুত? খোলাখুলি তা জানিয়েছেন তৃণমূলের বলাগড়ের বিধায়ক। তাঁর কথায়, তৃণমূলে ফের ফিরে আসছেন ধান্দাবাজ নেতারা। তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বিস্ফোরক হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ।
ধান্দাবাজ নেতারা ফিরছেন তৃণমূলে!
তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী এদিন দলত্যাগীদের নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁদেরকে সুবিধাভোগী ও ধান্দাবাজ বলে নিশানা করেন। সেইসঙ্গে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু দলে ধান্দাবাজ নেতাদের আনাগোনা তিনি মানতে পারবেন না।
স্বার্থ ফুরোতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাঁরা
বলাগড়ের তৃণমূলের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নিশানায় কারা ছিলেন? রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন উঠেছে স্বাভাবিকভাবেই। অবশ্য তিনি নিজেউ খোলসা করে জানিয়ে দেন, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। আবার স্বার্থ ফুরোতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরকেই মূলত নিশানা করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
১৫৩ জনকে গুনেছিলাম, আর গুনতে পারিনি
মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কথায়, আমি লেখালেখির জগতের মানুষ। বিজেপিকে রোখার জন্য তিনি বিধায়ক পদে লড়াই করেছিলেন এবং বিধায়ক হয়েছিলেন। তখন বিজেপিতে গিয়েছিলেন এমন ১৫৩ জনকে গুনেছিলাম। তারপর আর গুনতে পারিনি। যাঁরা সুবিধাভোগী, যাঁরা ধান্দাবাজ, তাঁরা বরাবর এটাই করে এসেছেন। আর এটাই সত্যি।
বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে রাজি, মমতা যদি বলেন
তৃণমূলে বেসুরো বিধায়ক আরও বলেন, দলের শীর্ষনেতারা এবার ধান্দাবাজদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। তবে দলের সমালোচনা করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলেন, আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে রাজি। এমনই চ্যালঞ্জ ছুড়ে দিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। যাঁরা একদা দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফের ফিরিয়ে নেওয়ায় তাঁর ঘোরতর আপত্তি রয়েছে বলে জানিয়ে দেন বিধায়ক।
আবার অনেকেই তৃণমূলে ঘরওয়াসি যাঁদের
উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় হেভিওয়েট শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এক ঝাঁক বিধায়ক, ও জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার আগেও মুকুল রায়, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত, সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা-সহ অনেকেই গিয়েছেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে আবার অনেকেই তৃণমূলে ঘরওয়াসি করেছেন।
দলত্যাগীদের বিরুদ্ধেই মূলত ক্ষোভ তৃণমূল বিধায়কের
তৃণমূল ২০২১-এ জিতে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের মধ্যে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন সিং-সহ একাধিক বিধায়ক। তাঁদের বিরুদ্ধেই মূলত ক্ষোভ জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁদের দলে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি গর্জে উঠেছেন নিজের দলের বিরুদ্ধেই।
দিলীপ-ঘনিষ্ঠদের 'বাদ’ বিজেপির পঞ্চায়েত কমিটিতে, ফেরার যুদ্ধেও আদি-নব্য দ্বন্দ্ব