ভোটের আগেই ‘ইন্দ্রপতন’ নিশ্চিত তৃণমূলে! ‘মহা’ধাক্কা সামলাতে কোমর বাঁধছে নেতৃত্ব
সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গেল রাজ্যে। আর সেই সঙ্গে এই সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশের পরেই নিশ্চিত হয়ে গেল তৃণমূলে এবার ইন্দ্রপতন ঘটতে চলেছে জেলায় জেলায়। কোপ পড়ছে অন্তত ১৫ জেলা সভাধিপতিদের ঘাড়ে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন বাঁকুড়ার অরূপ চক্রবর্তী, তেমনই রয়েছেন নদিয়ার বাণীকুমার রায়, পূর্ব বর্ধমানের দেবু টুডুর মতো হেভিওয়েট নেতারা।

[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের আগেই বিজেপিতে বড়সড় রদবদল! নয়া নেতৃ্ত্বে পরিবর্তনের কড়ি জোগাড়ের চেষ্টা]
জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের যে সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে বাঁকুড়া, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান-সহ একাধিক জেলা সভাধিপতির পদ সংরক্ষণের আওতায় পড়েছে। ফলে অনেক ডাক সাইটে নেতাকেই এবার সরে যেতে হবে জেলা প্রশাসনের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে। সেইসঙ্গে শাসক দল বিপদে পড়বে, তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পুনর্বাসন দিতে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীকে সরতে হবে তাঁর ওই পদ তফশিলি উপজাতি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায়। একইভাবে মহিলা সংরক্ষণের জন্য ভোটের আগেই পদ খোয়ানো নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে দেব টুডু ও বাণীকুমার রায়ের। এছাড়াও অনেক জেলায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ সংরক্ষিত হয়েছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৫টি জেলার সভাধিপতি পদ সংরক্ষিত হয়েছে। তার মধ্যে ১০টি জেলার সভাধিপতি পদ মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে, পাঁচটি জেলায় তফশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত। মহিলা সংরক্ষিত ১০ জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলা পরিষদ সভাধিপতির পদ তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। সংরক্ষণের এই চক্করে পড়ে হেভিওয়েট নেতাদের পদ যাওয়ার বিষয়টি এখন শাসক তৃণমূলের কাছে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ।
হেভিওয়েট নেতাদের ছেড়ে যাওয়া আসেন কে বসবেন, আর পদ হারানো হেভওয়েট নেতারা পঞ্চায়েত ভোটের পর কোন পদে পুনর্বাসন পাবেন, তাও স্থির করতে হিমসিম খেতে হবে জেলা তৃণমূলকে। এখন থেকেই জেলা প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষ পদটি দখলের জন্য ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক দলে। তবে সব থেকে আগে তাঁকে পঞ্চায়েত ভোটে পরীক্ষায় বসতে হবে। জন সমর্থন নিয়েই এই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে।