১১ জন কাউন্সিলর বেপাত্তা, বনগাঁ পুরসভার অচলাবস্থায় তৃণমূলের তোপে বিজেপি
বনগাঁ পুরসভার ১১ জন কাউন্সিলরের কোনও খোঁজ নেই। বৃহস্পতিবার রাতেই তাই বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।
বনগাঁ পুরসভার ১১ জন কাউন্সিলরের কোনও খোঁজ নেই। বৃহস্পতিবার রাতেই তাই বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। পুরসভার কাউন্সিলর নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এদিকে পুরসভাতেও লাটে উঠেছে পরিষেবা। বাধ্য হয়েই পুলিশ-প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান।
অনাস্থা প্রস্তাবের পর বেপাত্তা
এর আগে বনগাঁ পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। তা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই টানাপোড়েনের মধ্যে চেয়ারম্যান সবাইকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। দলের এই কোন্দলে হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।
জ্যোতিপ্রিয়র হস্তক্ষেপেও সমস্যা
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে কথা বলার পর দাবি সমূহ লিখিত আকারে জমা দিতে অনুরোধ করেন। তা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানোর পর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য জানান, তাঁদের ১১ জন কাউন্সিলর মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ। এলাকায় তাঁদের দেখা মিলছে না। তাঁরা কেউ পুরসভাতেও আসছেন না।
বিজেপির দিকে অভিযোগের তির
তৃণমূলের অভিযোগ, নিখোঁজ কাউন্সিলরদের পরিকল্পনা করেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। স্বভাবতই তৃণমূলের অভিযোগ তির বিজেপির দিকে। বিজেপি বনগাঁ পুরসভা দখলের উদ্দেশ্য নিয়েই এইসব খেলা শুরু করেছে।