বড়সড় রদবদল হয়ে গেল তৃণমূলে, ‘হেভিওয়েট’ নেতারা পদ হারিয়ে ক্ষোভ ফুঁসছেন, জল্পনা
তৃণমূলে বড়সড় রদবদল হয়ে গেল। এই রদবদলের জেরে পুরভোটের আগে পদ হারালেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতারা। পদ হারিয়ে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলে বড়সড় রদবদল হয়ে গেল। এই রদবদলের জেরে পুরভোটের আগে পদ হারালেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতারা। পদ হারিয়ে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। দল এখন এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয় তা-ই দেখার। একইসঙ্গে তাঁদের নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনাও।
তৃণমূলে রদবদল, কোপ হেভিওয়েটদের ঘাড়ে
করোনা লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। তারই মাঝে বাংলার বুকে হানা দিয়েছে ভয়ঙ্কর আম্ফান। এই পরিস্থিতিতেই তৃণমূলে বড় রদবদল ঘটে গেল। কৃষ্ণনগর তৃণমূলে বিভিন্ন কমিটি নতুন করে সাজানো হয়। তাতে্ কোপ পড়ে অনেক হেভিওয়েট নেতার ঘাড়ে। অপসারিত নেতাদের নিয়েই এখন সংকট তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
পুরনো মুখকে সরিয়ে আনা হয়েছে নতুনকে
কৃষ্ণনগর জেলা কমিটিতে একাধিক পদে রদবদল করা হয়। আবার একাধিক ব্লক ও বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় কমিটিতেও পরিবর্তন করা হয়। নাকাশিপাড়া, তেহট্ট, চাপড়ার মতো ব্লকগুলিতে বিবিধ পরিবর্তন হয়েছে নেতৃত্বে। পুরনো মুখকে সরিয়ে নতুনকে আনা হয়েছে। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন দলের হেভিওয়েটরা।
ত্রাহি ত্রাহি রব পড়েছে তৃণমূলে
ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও তদ্বির করতে শুরু করেছেন তৃণমূলের বিধায়ক ও নেতৃত্বরা। তাঁদের অভিযোগ কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। তা নিয়েই জোর শোরগোল তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। কৃষ্ণনগরের সাংসদ সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়েই এই রদবদল করেছিলেন। তা কার্যকর হল এতদিনে। তাতেই ত্রাহি ত্রাহি রব পড়েছে তৃণমূলে।
নেতৃত্বে রদবদল করল, অনেকেই অবাক
করোনার মহামারী ও ভয়ঙ্কর দুর্যোগের সময় বাংলার শাসকদল যেভাবে নেতৃত্বে রদবদল করল, তাতে অনেকেই অবাক। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ করায় তৃণমূলের অন্দরে জটিলতা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে কীভাবে এই ক্ষোভ সামাল দেয়, তা-ই এখন দেখার।
নতুন-পুরনোদের ভারসাম্য রাখতে রদবদল
নদিয়া জেলা প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, কমিটি বদলের চিঠি পেয়েছি, তবে এই কঠিন সময়ে কেন এমন অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানি না। তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। আর মহুয়া মৈত্র বলেন, শীর্ষ নেতৃত্বের মত নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন-পুরনোদের ভারসাম্য রেখে কাজ করতেই এই পরিবর্তন করা হয়েছে।
MSME শিল্পে নগদ প্রবাহ বাড়াতে ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা মোদী সরকারের