তৃণমূল কংগ্রেসের ‘হেভিওয়েট নেতা’ পদচ্যুত! কড়া সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ ২০২১ নির্বাচনের আগে
তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট নেতা’ পদচ্যুত! কড়া সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ ২০২১ নির্বাচনের আগে
দুর্নীতির কাঁটা সরাতে হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে ছেঁটে ফেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেই ভিডিও নেতার কাটমানি-যোগ সামনে আসতেই তিনি পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তারপর তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।
মেন্টর পদ থেকে অপসারিত তৃণমূল নেতা
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের মেন্টর শুভাশিস পালকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের মেন্টর পদ এখন থেকে ফাঁকা। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় তদন্ত হবে। তাঁকে দলের তদন্তের মুখোমুখিও হতে হবে।
দুর্নীতির ভিডিও সামনে আসতেই ব্যবস্থা
সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে আনেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তৃণমূল নেতা শুভাশিস পালের কাটমানি নেওয়ার দৃ্শ্য দেখা যায়। এই নিয়েই দক্ষিণ দিনাজপুরে পড়ে যায় শোরগোল। পরিস্থিতি সামাল দিতেই তড়িঘড়ি তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেন, তিনি ইস্তফা দিতে চান।
পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ, তারপরই পদচ্যুত
এর পাশাপাশি তিনি এমন দাবিও করেন যে, তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্যই এসব করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসে জেলা কার্যকরী সভাপতি পদ হারিয়েছেন। এখন তিনি জেলা পরিষদের মেন্টর। এই অবস্থায় তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এরপর তিনি জানিয়ে দেন, তিনি পদলোভী নন। দল চাইলেই তিনি পদ ছেড়ে দেবেন।
ডানা ছাঁটার কাজ শুরু হয়েছিল আগেই
এরপরই জেলা তৃণমূল তড়িঘড়ি শুভাশিস পালকে জেলা পরিষদের মেন্টর পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাঁর ডানা ছাঁটার কাজ শুরু হয়েছিল বেশি কিছুদিন ধরেই। মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স করে বিধায়ক গৌতম দাসকে কার্যকারী সভাপতি করা, তারপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় বৈঠকে গিয়ে কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন শুভাশিস পালকে।
দুর্নীতির খোঁচায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল
এর ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরে ফের তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের ডানহাত হিসেবে কাজ করতেন শুভাশিস। তাঁকে কার্যকরী সভাপতি করেছিলেন অর্পিতাই। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া এবং তারপরের ঘটনাপ্রবাহ কিন্তু অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন যা পরিস্থতি দুর্নীতির খোঁচায় তৃণমূল ঘোরতর বিপাকে পড়ে যাচ্ছে ২০২১-এর আগে।
তৃণমূলের লোকদের বোকা বানান মুখ্যমন্ত্রী! 'মিথ্যা' বলা মুখ্যসচিবের সাধারণ জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের