
প্রার্থী তালিকাতে চরম বিভ্রান্তি! 'গোপনীয়তা'র মধ্যেই নতুন করে লিস্ট তৈরি তৃণমূলের
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘিরে চরম বিভ্রান্তি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট রয়েছে বাংলার ১০৮ পুরসভা। আর সেই লক্ষ্যেই আজ শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয় তৃণমূলের তরফে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার কোনও বিধায়ককেই প্রার্থী করা হয়নি। এমনকি এক পরিবার থেকেও বহু জনকে প্রার্থী করা হয়নি।

কিন্তু এহেন ঘোষণার পরেই বদলে যায় সবকিছু। দেখা যায় প্রার্থী হিসাবে নাম রয়েছে দুলাল দাসের। তিনি বিধায়ক থাকা স্বত্বেও প্রার্থী করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, একাধিক পরিবারের দুইজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর সামনে আসার পরেই চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এমনকি বেশ কয়েকটি জায়গাতে প্রার্থী বদল নিয়েও চরম বিক্ষোভ সামনে আসে। যা নিয়ে আরও অস্বস্তি বাড়ে শাসকদলে।
এই অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি সহ একাধিক শীর্ষ তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল সুত্রে দাবি করা হয় যে, ভুয়ো প্রার্থী তালিকা নাকি সামনে চলে এসেছে। যে তালিকা সামনে এসেছে তাতে শীর্ষ নেতৃত্বের কোনও সাক্ষর নেই বলেই দাবি করা হয়। আর এরপরেই সেই প্রার্থী তালিকা তুলে নেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, নতুন করে তালিকা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। নতুধু তাই নয়, প্রার্থী তালিকাতে বেশকিছু পরিবর্তন রয়েছে বলেও দাবি শাসকদলের। নতুন তালিকা ইতিমধ্যে সমস্ত জেলার জেলা সভাপতিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয়বার তালিকা প্রকাশে অনেক বেশি সাবধানী শাসকদল। এমনটাই সুত্রের খবর।
তবে এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনকি নতুন তালিকাও সামনে নিয়ে আসা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। সবটাই ভিতরে ভিতরে করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে এত বড় ভুল ঘটল! এমনকি পুরানো প্রার্থী তালিকা সামনেই বা কীভাবে আসল? এমন হাজারো প্রশ্ন উথতে শুরু করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের পরেই এক ব্যক্তি এক পদ কড়া ভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়। কিন্তু কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে সেই ভাবনা। প্রার্থী করা হয় একাধিক বিধায়ককে। কিন্তু বাকি ১০৮ পুরসভার ক্ষেত্রে এই নীতি কড়া ভাবে পালন করার কথা বলা হলেও সেখানেই বিভ্রান্তি।
এমনকি কড়া ভাবে পরিবারতন্ত্রকে ঠেকাতে শাসকদল চেষ্টা করলেও সেখানেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এই অবস্থায় যদিও নতুন তালিকাতে এই বিষয়টি কড়া ভাবে নেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।