তৃণমূলের টিকিট চান না, ভোটের আগেই নিজের প্রতীক ঠিক করে নিলেন বিদ্রোহী নেতা
তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর থামছেই না। ২০২১-এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই সমস্যার বেড়াজালে পড়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে জেলায় জেলায়। তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সমান্তরাল দল চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এবার নিজের প্রতীক বেছে নিলেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু।

মানভঞ্জনের সব চেষ্টাই বৃথা
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি তৃণমূলে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল মোহন বসুকে প্রশাসক হিসেবে পুরসভার দায়িত্ব না দেওয়া নিয়ে। তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এবং তৃণমূলে বার্তা দেন প্রয়োজনে সমান্তরাল দল চালানোর। তারপর থেকেই তৃণমূলের তরফে মানভঞ্জনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা যেতে বসেছে।

তৃণমূলেই সমান্তরাল দল চালানোর বার্তা
প্রশাসক পদ না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেছিলেন, জেলা সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণীর যদি পদে থাকেন, তিনি তাঁর নেতৃত্ব মানবেন না। তিনি তৃণমূল ছাড়বেন না, তৃণমূলেই তিনি সমান্তরাল দল চালিয়ে যাবেন। সম্প্রতি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁর সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পরও তিনি অবস্থান থেকে পিছু হটছেন না।

তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন না
এবার তিনি সরাসরিই বলে দিলেন, তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন না আসন্ন পুরসভা ভোটে। তিনি ত্রিশূল প্রতীকে লড়বেন ভোট। এবং তিনি জিতবেন বলেও আশাবাদী। মোহন বসু বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে ভোটে জিতে আসছি। গত ১৭ বছর ধরে চেয়ারম্যান। কংগ্রেসের হয়েও জিতেছি, তৃণমূলের হয়েও। এবার ত্রিশূল প্রতীকেও জিতব।

মন্ত্রী চলে যেতেই বোমা ফাটালেন বিদ্রোহী নেতা
গৌতম দেবের পর অরূপ বিশ্বাস তাঁর বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়ে আসেন। তারপর মনে করা হয়েছিল এবার বোধহয় দ্বন্দ্বের অবসান হবে। কিন্তু অরূপ বিশ্বাস চলে যাওয়ার পরই ফের বোমা ফাটালেন বিদ্রোহী নেতা মোহন বসু। এখন জলপাইগুড়ির এই অন্তর্দ্বন্দ্ব কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা-ই দেখার।

বিজেপি যোগও বাড়ছে মোহন বসুর
বর্তমান পরিস্থিতিতে দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় নাকি মোহন বসু অন্য কোনও দলের দিকে পা বাড়ান, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। মোহন বসু বিদ্রোহী হওয়ার পর বিজেপির বেশ কিছু নেতা তাঁর বাড়িতে আসেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যান। তৃণমূলের এক বিধায়কও মোহনু বসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

জেলায় তৃণমূল দু-ভাগ হয়ে পড়েছে
মোহন বসু বিজেপির সঙ্গে যোগসাজোশ করে চলছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের একাংশ। যুব তৃণমূল নেতৃত্বও সরব হয়েছে মোহনবাবু বিরুদ্ধে। তারপর মোহন বসুর সঙ্গে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় দেখা করা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। ফলে জেলায় তৃণমূল দু-ভাগ হয়ে পড়েছে। একদিকে বিধায়ক, বিদায়ী চেয়ারম্যান, অন্যদিকে জেলা সভাপতি-যুব সভাপতিরা। এই দ্বন্দ্ব বিজেপি উপভোগ করতে শুরু করেছে।

বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার! করোনার পর দিলীপ ঘোষদের নতুন 'দিশা' জেপি নাড্ডার