ভাটপাড়ায় তুমুল অশান্তি, নেতাজি মূর্তিকে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে শুদ্ধিকরণ তৃণমূলের
সকাল থেকেই ভাটপাড়ায় ধুন্ধুমার। নেতাজি জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে ভাটপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির সংঘর্ষ চরমে উঠেছিল। গুলি বোমাাজির অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই গান্ধী মূর্তির শুদ্ধিকরণ করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। সকাল থেেক তুমুল অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এখনও থমথমে গোটা এলাকা।

সাত সকালে নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভাটপাড়ায় তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিং মাস্ক বিলি করছিলেন। তাতে বাধা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা অভিযোগ করেন তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচি পণ্ড করার জন্য আগে থেকেই বিজেপি বিধায়ক সেখানে হাজির হয়ে নেতাজির মূর্তিতে মালা দেন। তাতে আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস এই নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। শেষে দুই পক্ষের মধ্য তুমুল অশান্তি শুরু হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে বিজেপি সাংসদ অর্জুন িসং গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ সাংসদের নিরাপত্তারক্ষীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। পুরভোটের আগে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন অর্জুন সিং এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি। সাংসদের নিরাপত্তা রক্ষীরা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দিকে বন্দুক তাক করে পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। অর্জুন সিংয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু হয়ে গিেয়ছিল। সিআইএসএফ জওয়ানরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। তৃণমূল কর্মীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সাংসদের নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও ক্রমে অর্জুন সিংকে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বেশ কিছুক্ষণ এলাকা থমথমে হয়ে ছিল।
তারপরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে নেতাজী মূর্তিতে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয়। এবং নতুন করে মালাদান করে নেতাজী জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করেছেন ভাটপাড়ায গুণ্ডারাজ চালিয়ে যাচ্ছে অর্জুন সিং। পুরভোটের আগে অশান্তি তৈরি করতেই ইচ্ছা করে অশান্তি ছড়াচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতি কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন একজন সাংসদকে নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার বেহাল দশা। অর্জুন সিং জানিয়েছেন তিনি পুরো ঘটনা লোকসভার অধ্যক্ষকে এবং রাজ্যপালকে জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন যেখানে নেতাজি জয়ন্তী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখানেই সামান্য মারামারি হয়েছে। দুটি ছেলের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয় প্রথমে। তারপরই ধস্তাধস্তি হয়পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।