ঢাল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড, দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে চাপ তৃণমূল প্রধানের! কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের
ঢাল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড, দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে চাপ তৃণমূল প্রধানের! কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের
স্বাস্থ্যসাথীর (swastha sathi) কার্ডকে ঢাল করে দুর্নীতি আড়াল করার প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রামেগঞ্জে। যানিয়ে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের (trinamool congress) একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদহ ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
দুর্নীতির অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে
দীর্ঘদিন ধরেই মালদহের ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি আবাস যোজনার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এব্যাপারে গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগও দায়ের করেছেন।
অভিযোগ প্রত্যাহারে গ্রামবাসীদের চার
এই অভিযোগ প্রত্যাহারে গ্রাম চাপ তৈরি করছেন গ্রামবাসীদের ওপরে। যাতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডকে। নাকি বলা হয়েছে, দুর্নীতির ওই অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সুবিধা পাওয়া যাবে না। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত প্রধান।
বিরোধীদের কটাক্ষ
এদিন এই অভিযোগ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। জেলা বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নীতি ও মস্তানদের আখড়া হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অপসারণ দাবি করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
তৃণমূলের হুঁশিয়ারি
তবে সামনে থেকে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হবে অভিযুক্তকে। দল অভিযুক্তের পাশে দাঁড়াবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও প্রধান এই ধরনের কাজ করে থাকেন, তাহলে দলীয় পর্যায়ে যেমন তদন্ত করা হবে, ঠিক তেমনই প্রশাসনিক পর্যায়েও তদন্ত হবে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি ও চাল চুরির অভিযোগ
এর আগে বিভিন্ন সময়ে আবাস যোজনাই হোক কিংবা শৌচাগার তৈরি, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে মোটা টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিভিন্ন জায়গায়। অনেক জায়গায় কাটমানি ফের দিতে বাধ্য হয়েছিল অভিযুক্ত নেতারা। এরপর করোনা এবং আম্ফান পরবর্তী ত্রাণ বন্টনে জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। একদিকে যেমন করোনা পরিস্থিতিতে রেশনের চাল চুরির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলে একাংশের বিরুদ্ধে পাশাপাশি রেশন ডিলারদের থেকে জোর করে চাল তুলে নিয়ে নিজেদের নাম করে বিলির অভিযোগও উঠেছিল। এছাড়াও আম্ফানে ঘর নতুন করে তৈরি করতে সরকার থেকে যে সাহায্য পাঠানো হয়েছিল, সেই তালিকার সাধারণ এবং ভুক্তভোগী মানুষকে বঞ্চনা করে নিজের, পরিজন এবং দলের নেতা, কর্মীদের নাম ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।