বীরভূমে একই দিনে দলবদলের পর ঘর-ওয়াপসি তৃণমূল নেত্রীর, নেপথ্যে কোন কারণ
বীরভূমে একই দিনে দলবদলের পর ঘর-ওয়াপসি তৃণমূল নেত্রীর, নেপথ্যে কোন কারণ
একইদিনে এক জনপ্রতিনিধির দুবার দলবদল। ২০২১-এর হাইভোল্টেজ নির্বাচনের আগে এমনই পরিস্থিতি এই বঙ্গে। সেটা আবার অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) গড়ে। রাতে তৃণমূলের (trinamool congress) ফেরার পর নেত্রী জানান, কোন ভয়ে নয়, ভুল বুঝতে পেরেই তিনি তৃণমূলে ফিরেছেন। যদিও বিজেপির (bjp) তরফ থেকে তাঁকে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে।
দুপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা রফিকা বিবি এবং তাঁর স্বামী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, সরকারি প্রকল্পে গরিব মানুষের বঞ্চনার প্রতিবাদেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই খবরে শোরগোল পড়ে যায়, জেলা জুড়ে। এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল। কয়েক ঘন্টার মধ্যে হাতেনাতে ফল। রাতে তৃণমূল সদস্যা ও তাঁর স্বামী তৃণমূলে ফেরার কথা জানান। সেই সময় তাঁরা বলেন, ভুল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, ভুল হয়েছিল। তৃণমূলে আছেন, তৃণমূলেই থাকবেন বলে জানান রফিকা বিবি।
বিজেপিরে বিরুদ্ধে অভিযোগ
বিজেপির বিরুদ্ধে ভুল বোঝানোর অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগও করেন তিনি। একই দাবি করেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও। যদিও বিজেপির দাবি, দলত্যাগের পরে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখায় তৃণমূল। তাতেই ফের তৃণমূলের ফেরেন ওই নেত্রী।
অনুব্রত গড়ে আধিপত্য বাড়াতে মরিয়া বিজেপি
অনুব্রত মণ্ডল ঘোষণা করে দিয়েছেন, বীরভূমের ১১ টি আসনের সবকটি তৃণমূল জিতবে। পাশাপাশি তাঁর ভবিষ্যৎবাণী ২০২১-এর নির্বাচনে ২২০ টি আসনে জয় পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি অনুব্রত মণ্ডলের এই দাবিকে কটাক্ষ করেছে। অন্যদিকে ভোট যত এগিয়ে আসছে, জেলায় নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। গত সপ্তাহের দিলীপ ঘোষের সভা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বীরভূম। সিউড়িতে দিলীপ ঘোষের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে একাধিক জায়গায় বিজেপির বাস, গাড়ি আটকানো অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নানুরের শিমুলিয়ায় দুদলের সংঘর্ষও হয়ছিল।
পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে উপদ্রুত জেলা বীরভূম, বলেছিলেন দিলীপ
সিউড়িতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, রাজ্যের সব থেকে উপদ্রুত জেলা হল বীরভূম। তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঝুড়ি ঝুড়ি বোমা পাওয়া যায়। পার্টি নেতার বাথরুমেও বস্তায় বোমা পাওয়া যায়। বোমার কারখানাই এখানে চলে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, সারা জেলা থেকে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। জঙ্গি ধরা পড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। কাশ্মীরেও এত জঙ্গি ধরা পড়ে না, মন্তব্য করেছিলেন তিনি।