কান ধরে দুর্নীতি স্বীকার তৃণমূল নেতার! একুশের নির্বাচনের আগে বড় অস্ত্র পেল বিজেপি
কান ধরে দুর্নীতি স্বীকার তৃণমূল নেতার! একুশের নির্বাচনের আগে বড় অস্ত্র পেল বিজেপি
করোনার রেশন থেকে অম্ফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে আসছিল বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি। এবার সেই অভিযোগের হাতনাতে প্রমাণ মিলল। আম্ফানের ক্ষতিপূরণের টাকা ক্ষতিগ্রস্থদের না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন বলে স্বীকার করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক পঞ্চায়েত সদস্য।
কান ধরে ক্ষমা চাইলেন পঞ্চায়েত সদস্য
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর দু-নম্বর ব্লকের পূর্ব কৈলাসপুরের নন্দকুমার পঞ্চায়েতের এক সদস্যের বিরুদ্ধে আম্ফানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এরপরই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে কান ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন পঞ্চায়েত সদস্য। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসও ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
নিকট আত্মীয়দের টাকা পাইয়ে দেন পঞ্চায়েত সদস্য
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে বিডিও পুলিশ নিয়ে হাজির হন ঘটনাস্থলে। তিনিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে ভর্ৎসনা করেন। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের নাম স্বপনকুমার ঘাঁটু। তিনি আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের নাম তালিকাভুক্ত না করে স্বজনপোষণ করেন। নিকট আত্মীয়দের তিনি টাকা পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পঞ্চায়েত সদস্যের স্বীকার আম্ফান-দুর্নীতির কথা
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাসপুর-হরিণডাঙাগামী রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। এই খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বিডিও রিজওয়ান আহমেদ। এরই মধ্যা গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে কান ধরে পঞ্চায়েত সদস্য স্বীকার করে নেন আম্ফান-দুর্নীতির কথা।
ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরিতে ত্রুটি ছিল
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কান ধরে বলেন, ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরিতে ত্রুটি ছিল। তাই আমি গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য বলেছেন, গ্রামবাসীদের ক্ষোভ সবাই এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি বলে। শীঘ্রই সবাই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। তালিকাভুক্ত সবাইকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
কতটা ভরসা যোগ্য পতঞ্জলির করোনা দাবাই! উল্টো সুর মোদী সরকারের, কী নির্দেশ দিল আয়ুষ