বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ
ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়া জেলার তালডাঙরার পাঁচমুড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসে বিজেপির লোকজন হামলা করে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শুধু তাই নয় তালডাঙরায় বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা চন্দন অধিকারীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
'বিজেপির লোকেরা আমার বাড়িতে শুধু হামলা ও ভাঙচুর করেনি, তাঁরা আমার মেয়ের গলার হার ছিনতাই করেছে। পাঁচমুড়ায় আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। নির্বাচনে জেতার পর থেকেই জেলা জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি', এমনই অভিযোগ চন্দন অধিকারীর।
এই জেলার বড়জোড়া এলাকাতে বিজেপি তাঁদের একটি অফিস দখল করেছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে জেলা বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ পাত্র দাবি করেন, ভোটে হারার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে, এটা তারই পরিণাম।
বাঁকুড়া জেলার দুটি আসনেই জিতেছে বিজেপি। বাঁকুড়া আসনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিতেছেন সুভাষ সরকার। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে জেতেন সৌমিত্র খাঁ।
অভিযোগ, সন্ত্রাস জারি রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। মেদিনীপুর আসনে বিজেপির দিলীপ ঘোষ জিতলেও ঘাটালে জিতেছেন তৃণমূলের দেব। তারপরেও ঘাটাল কেন্দ্রের কেশপুর এলাকায় তাঁদের অনেকগুলি অফিস বিজেপি দখল করেছে ও লোকদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।
'নানা জায়গায় আমাদের লোকেদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমাদের অফিস দখল করছে বিজেপি। আমরা আমাদের কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি। বিজেপি যদি সংযত না হয় তাহলে আমাদের পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে হবে', বলে জানান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অজিত মাইতি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিজেপি নেতা শমিত দাসের দাবি, তাঁরা তৃণমূলের কোনও অফিস দখল করেননি। 'এলাকার তৃণমূলের লোকেরাই আমাদের পতাকা সেখানে টাঙিয়ে দিচ্ছে। আমরা কাউকে মারধর করিনি', বলেছেন তিনি।