লক্ষ্মীরতনের পথ ধরে আর কারা ছাড়তে পারেন তৃণমূল! ভোটের আগে জল্পনা হাওড়ায়
লক্ষ্মীরতনের পথ ধরে আর কারা ছাড়তে পারেন তৃণমূল! ভোটের আগে জল্পনা হাওড়ায়
তৃণমূল ছাড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। হাওড়া জেলা তৃণমূলের শহর সভাপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি শুধু বিধায়ক থাকতে চান এবং পুরো টার্ম শেষ করতে চান, এই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে। দল যখন হাওড়ার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত, তখন হঠাৎ করেই লক্ষ্মী আউট হয়ে গেলেন তৃণমূল থেকে।
হাওড়া জেলা তৃণমূলের ভাঙন রেখা কি আরও চওড়া হবে
২০২১-এর বিধানসভা ভোট কড়া নাড়ছে দুয়ারে। যখন নির্বাচনে লড়তে সবার সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন জেলা তৃণমূলের সভাপতিই দল ছেড়ে দিলেন। সেই সমস্যা তো ঘটেই গিয়েছে, এখন প্রশ্ন উঠছে, হাওড়া জেলা তৃণমূলের ভাঙন রেখা কি আরও চওড়া হবে? তৃণমূল কি আরও ভাঙবে আসন্ন নির্বাচনের আগে? এখন এটাই প্রশ্ন।
রাজীব সুযোগ পেলেই সমালোচনার সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলে
তৃণমূলে বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো বাজছেন হাওড়া জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রকাশ্যেই তৃণমূলের সমালোচনা করছেন। তৃণমূলে স্তাবকরাই উচ্চপদে রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন। তারপর থেকেই তাঁকে বুঝি্য়ে দলে সক্রিয় করার কথাবার্তা চলছে। কিন্তু রাজীব সুযোগ পেলেই সমালোচনার সুর চড়াচ্ছেন।
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতির পর...
তৃণমূল ছেড়ে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সৌমিত্র খাঁ আবার তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন- তৃণমূল থেকে অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে কেউ একজন বিজেপিতে আসবেন। তারপর অরূপ রায় পাল্টা বিবৃতিতে কড়া জবাব দিলেও রাজীব নিশ্চুপ থেকেছেন।
লক্ষ্মীরতন শুক্লা তৃণমূল ছাড়ার পর পাশে বৈশালী ডালমিয়া
এছাড়াও বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। কখনও বহিরাগত প্রসঙ্গে, কখনও আবার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও। এদিনও লক্ষ্মীরতন শুক্লা তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বৈশালী। ফলে নির্বাচনের আগে সেই ভাঙন কতচা চওড়া হয়, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
শুভেন্দু অধিকারী তো বিজেপিতে ডাক দিয়েই রেখেছেন
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অনেক জেলাতেই তৃণমূলে ভাঙনের সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো আগে থেকেই ডাক দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর যোগদানের আগে থেকে দুজনের পোস্টার-ব্যানার একসঙ্গে পড়েছে বহু জায়গায়। যদিও রাজীব বারবার বলেছেন শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে তাঁকে যেন একই পর্যায়ে না ফেলা হয়।
তৃণমূলের নেতারা দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন উইপোকাদের জন্য
এই অবস্থায় হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসে ফের ভাঙনের সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। লক্ষ্মীরতনের পর কারা তৃণমূল ছাড়তে পারেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। এরই মধ্যে বৈশালী ডালমিয়া বার্তা দিয়েছেন, দলে উইপোকারাই সম্মান নষ্ট করছে। ফলে তৃণমূলের নেতারা দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা যেমন দলকে ভালোবাসেন, তেমনই নিজেদেরও তো ভালোবাসেন!
বেইমান-মীরজাফরদের তৃণমূলে ফেরার রাস্তা বন্ধ! ২১-এর আগেই সময় নির্ধারণ করে দিলেন জ্যোতিপ্রিয়