পাশা উল্টে গেল! বিজেপি নয় চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে এবার শাসক দল তৃণমূলেই
পাশা উল্টে গেল! বিজেপি নয় চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে এবার শাসক দল তৃণমূলেই
একুশের ভোটের পর থেকেই তৃণমূলকে কংক্রিটই লেগেছে। বিজেপি বরং ভঙ্গুর দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিগত এক বছর ধরে। ভাঙন আর ভাঙন, বিজেপির পরিষদীয় টিমেও ভাঙন ধরেছে। ৭৭ জন বিধায়ক সংখ্যা এখন ৭০-এ নেমে এসেছে বিজেপির। কিন্তু সম্প্রতি বিধানসভায় ভোটাভুটিতে দেখা গেল তৃণমূলেও বইছে চোরাস্রোত।
১৫ জন বিধায়কের ভোট কোথায় গেল?
বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে দেখা যায় তৃণমূলের পক্ষে ১৬৭ ভোট পড়েছে। বিজেপিতে ভোট পড়েছে ৫৫। অর্থাৎ ১৬৭-৫৫ ভোটে পাস হয়ে যায় বিল। কিন্তু এই ভোট অঙ্ক নিয়েই চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের মোট ১৮২ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। অথচ তৃণমূল ভোট পেয়েছে ১৬৭। তাহলে ১৫ জন বিধায়কের ভোট কোথায় গেল?
বিজেপি নয়, চোরাস্রোত তৃণমূলে
সোমবার ভোটাভুটির পর জানানো হয়, তৃণমূলের পক্ষে ১৮২-৪০ ভোটে বিল পাস হয়েছে। অর্থাৎ বিজেপির ১৭টি ভোট বেপাত্তা। তা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোচ্চার হন। তিনি বলেন, তৃণমূল কারসাজি করে তাঁদের পক্ষের ভোট নিজেদের পক্ষে দেখিয়েছেন। আমাদের ৫৭ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন, তাহলে কোথায় গেলেন ১৭ বিধায়ক? তারপর বিধানসভা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় গণনায় ভুল হয়েছিল, বিল পাস হয়েছে ১৬৭-৪০ ভোটের ব্যবধানে।
হঠাৎ তৃণমূলে কেন চোরাস্রোত
নতুন অঙ্কে পাশা ঘুরে য়ায় তৃণমূলের দিকে। বিজেপি ৫৭ জনের মধ্যে ৫৫ জনের ভোট পেয়েছে। দুজনের ভোট বাতিল হয়েছে। আর তৃণমূল ১৬৭ ভোট পেয়েছে, তাদের বাতিল হয়েছে ১৫টি ভোট। তা নিয়েই চিন্তা তৃণমূলের। তবে কি তৃণমূলেও চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে? তৃণমূলের সমস্ত বিধায়কের সায় নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার ব্যাপারে।
ইচ্ছাকৃত ভোট নষ্ট! প্রশ্ন তৃণমূলে
তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, ১৫ বিধায়কের অধিকাংশ ইচ্ছাকৃত ভোট নষ্ট করেছেন। তাঁরা ভোট নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়ার বিরোধিতা করেছেন। এই চিন্তা নিয়েই দিল্লি রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি পদে এংমন একজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো, যাতে বিরোধী ভোট এক জায়গায় করা যায়। জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে ঐক্যের বাতাবরণ তৈরি করা যায়।
পাশার সেই চাল উল্টে গিয়েছে
এখন এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি পদে ভোটাভুটিতে কতজনের ভোট পাবে তৃণমূল. বা কতজনের ভোট বাতিল হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায় বা চিন্তা রয়েই যায়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল বিজেপির ১৭ জন বিধায়কের ভোট উধাও হয়ে যাওয়া বিজেপিতে ভাঙনের একটা ইঙ্গিত। কিন্তু পাশার সেই চাল উল্টে গিয়েছে। এবার চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে তৃণমূলে।
ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা থাকছেই
তবে শুধু ১৫ জন বিধায়কের ভোট বাতিল হওয়াই নয়, বাকি ৩৩ জন বিধায়ক কেন সোমবার বিধানসভায় উপস্থিত থাকলেন না, সেটাও ভাবার বিষয়। ২১৫ জন বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও কেন মাত্র ১৮২ জন অংশ নিলেন ভোটাভুটিতে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়। এই অনুপস্থিতি বা ভোট বাতিল হওয়া আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
ফের মতের তফাত! ইতিহাস পরিবর্তন নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্যকে কটাক্ষ জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের