তৃণমূলে শুরু সমীক্ষার রেওয়াজ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নেতাদের মূল্যায়নের উদ্যোগ
ভোট কৌশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়েই ‘দিদিকে বলো’ অভিযান শুরু করেছিলেন। তার ফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র ফের ‘দিদিকে বলো-২’ অভিযানে নামার কথা জানিয়েছেন।
ভোট কৌশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়েই 'দিদিকে বলো' অভিযান শুরু করেছিলেন। তার ফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র ফের 'দিদিকে বলো-২' অভিযানে নামার কথা জানিয়েছেন। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃণমূলে শুরু হল সমীক্ষশ্রার রেওয়াজ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নেতাদের মূল্যায়নে সমীক্ষা ব্যবস্থা শুরু করলেন তিনি।
প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে সমীক্ষা তৃণমূলে
২০২৩-এ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যজুড়ে। তার আগে প্রতিটি জেলার ব্লকে ব্লকে নেতাদের সমীক্ষার ব্যবস্থা করল তৃণমূল। ইতিমধ্যে এলাকার বিধায়কদের দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে সমীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই রিপোর্ট জমা পড়লে ব্লকের নেতাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। কোন নেতার প্রতি মানুষের কেমন আস্থা তা জেনে নিতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
ব্লক স্তরের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা মূল্যায়নে
'দিদিকে বলো' যেমন বিধানসভা ভোটের আগে বিধায়কদের জনভিত্তি চূড়ান্ত করে দিয়েছিল। তেমনই এই সমীক্ষা পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্লক স্তরের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা সামনে আনবে। যদি কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকে, তাও বেরিয়ে আসবে নয়া সমীক্ষা পদ্ধতিতে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যাতে কোনও অশান্তি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখাও এই সমীক্ষার বিশেষ উদ্দেশ্য।
ব্লক নেতাদের স্ক্রিনিং পর্ব চলছে, তারপর রেটিং
বিধায়কদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ব্লক নেতাদের স্ক্রিনিং পর্ব চলছে। সেই পর্ব শেষ করেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হবে। এই সমীক্ষায় প্রথমেই দেখা হবে, কতটা জনসংযোগ রয়েছে ওই নেতার। অর্থার মানুষের সঙ্গে তিনি মিশতে পারেন কি না, তাঁকে মানুষ কী চোখে দেখে, জনপ্রতিনিধিদের তিনি কীভাবে সাহায্য করেন। সেইমতো নম্বর বা রেটিং পাবেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমীক্ষা ব্যবস্থা চূড়ান্ত
অনেক জায়গাতেই বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির বা ব্লকের নেতাদের ঝামেলা রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সেই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা চালানো হবে। তার জন্যই রিপোর্ট নিয়ে ময়দানে নেমে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। ব্লক সভাপতিরা যাতে বিধায়ক ও জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলে, উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে চাইছে তৃণমূল।
অশান্তির মূল বিনাশ করাই লক্ষ্য তৃণমূলের
জেলায় জেলায় বিধায়কদের সঙ্গে ব্লক সভাপতিদের অশান্তির খবর সামনে এসেছে। আবার পুর এলাকায় কাউন্সিলরদের সঙ্গেও ওয়ার্ড সভাপতির দ্বন্দ্ব লেগে থাকছে। উন্নয়নের প্রশ্নে এই প্রবণতা অন্তরায় হয়ে উঠেছে। তাই অবিলম্বে তা দূর করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। অশান্তির মূল বিনাশ করাই তাঁদের লক্ষ্য। কারণ তৃণমূলের অন্তরায় এই মুহূর্তে নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব। তা মেটাতে পারলে বিরোধীরা কোনও ফ্যাক্টর নয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে।