তৃণমূল যদি মমতার না হয় তবে কার! মুকুল থেকে প্রশান্ত কিশোর- বিতর্ক চলছেই
তৃণমূল কার? এ নিয়ে তর্কটা চলছে বহুদিন ধরেই। ২০২১-এর প্রাক্কালে ফের সেই বিতর্ক উঠে পড়ল। খোদ তৃণমূল বিধায়কের কথাতেই স্পষ্ট তৃণমূল এখন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। তবে তৃণমূল কার? সেই উত্তরও দিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়ক মিহির গোস্বামী। শুভেন্দু অধিকারীও একই বার্তা দিয়েছেন। তারপরই চর্চা শুরু রাজ্য রাজনীতিতে।

মমতার কর্তৃত্ব নেই তৃণমূলের উপর!
শুভেন্দু অধিকারী ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন গোপন বৈঠক করেছেন তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে। তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদের কাছে শুভেন্দু জানিয়েছেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সুব্রত বক্সিরা নেতৃত্বে ছিলেন, ততদিন কাজ করতে কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা যেভাবে দল চালাচ্ছেন, তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই মমতার কর্তৃত্ব নেই তৃণমূলের উপর।

'তৃণমূল আর আমার দিদির দল নয়'
তারপর মিহির গোস্বামীও একই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহী মিহির গোস্বামীকে নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্দরে ঝড় বইছে। আগেই তিনি দলীয় সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে আবার বোমা ফাটালেন মিহির গোস্বামী। তিনি আক্ষেপ করেছেন তৃণমূল আর আমার দিদির দল নয়। এই দলে আর দিদির কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে তাঁর কথাতেও স্পষ্ট তৃণমূলের নিয়ন্র্নণ মমতার হাতে নেই।

মুকুল রায় যখন দল ছেড়েছিলেন
এর আগে মুকুল রায় যখন দল ছেড়েছিলেন, তারপর তিনি দাবি করেছিলেন এই তৃণমূল তাঁর তৈরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্তৃত্ব হাত নিয়েছেন। আসলে দলটা তিনিই করেছিলেন। সেই নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। শুরুর ওই বিতর্কটুকু বাদ দিলে তৃণমূলে মুকুল বরাবরই ছিলেন সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের ভূমিকায়। মমতার হাতেই ছিল ।

অভিষেক আর প্রশান্ত কিশোর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন
এবার তৃণমূলে ২০২১-এর প্রাক্কালে ফের সেই কর্তৃত্ব নিয়ে ঝামেলা। তৃণমূলেরই একাংশ মনে করছে, দলের কর্তৃত্ব আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এখন অভিষেক আর প্রশান্ত কিশোর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন দলে। তাঁরাই দল চালাচ্ছে। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো অবস্থা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিষেক-প্রীতিতেই সর্বনাশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিষেক-প্রীতি আদতে দলের ক্ষতি করছে, এই চর্চাও চলছে দীর্ঘদিন ধরে। মুকুল রায়ের দল ছাড়া থেকে শুরু করে বর্তমানে প্রশান্ত কিশোরের ভোট কৌশলী থেকে আগমন পর্যন্ত সেই একটা নামের মোহেই মমতা দলের সর্বনাশ ডেকে আনছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেকের উত্থান ঘটাতে গিয়ে দলের বিপদকে আহ্বান করছেন খোদ মমতাই।