প্রশান্ত কিশোরের চালে বিজেপি হবে বাজিমাত! তৃণমূলের হাতিয়ার যখন সোশ্যাল মিডিয়া
প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনার বাস্তব রূপায়ন, বিজেপিকে মাত দিতে হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া
২০২১-এর নির্বাচন আদতে ডিজিটাল যুদ্ধ হতে চলেছে। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার পরিকল্পনার উপরই নির্ভর করবে এবার বিজয়লক্ষ্মী কোন দিকে থাকবে। আর বিজেপি যে এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল প্রচার-পরিকল্পনার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের হাতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপ খোলার পরিকল্পনা
প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা মাফিকই সোশ্যল মিডিয়াতে জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে মাত দিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপ খোলা হচ্ছে। আর এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে আলিপুরদুয়ার। তারা ১৩০০ বুথে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজেপির যাবতীয় কুৎসার জবাব দিতে
তৃণমূল এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই বিজেপির যাবতীয় কুৎসার জবাব দেবে। এই ১৩০০ বুথে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপকে মনিটরিং করার জন্য জেলা স্তরে আরও ১০টি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে। তারা ঠিক করবে কারা ওই গ্রুপগুলি তদারকি করবে। এইভাবেই সো্শ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তৃণমূল।
ছাত্র সংগঠনের মেয়াদ ফুরনো ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে উদ্যোগ
তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনে যাঁরা ছিলেন, যাঁদের মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হচ্ছে, তাঁদেরকে এই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। এরপর তাঁদের কোনও সংগঠনে নেওয়া হবে। তার আগে ছাত্রছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা নেতৃত্ব আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে রাজি নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায়ে বিজেপিকে মাত দিতে
আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়েছে, বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেইসব অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার মতো কোনও মাধ্যম তাদের হাতে নেই। তাই এই নতুন উদ্যোগ বিজেপিকে মাত দেওয়ার জন্য।
২০২১ নির্বাচনের আগে কোমর বাঁধছে তৃণমূল
শুধু হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপই নয়, তৃণমূলের একটি ফেসবুক পেজও খোলা হচ্ছে জেলায়। এই ফেসবুর পেজেও বিজেপিকে জবাব দিতে চাইছে তৃণমূল। ২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে একেবারেই কোমর বেঁধে নামতে চাইছে তারা। যদিও বিজেপি তৃণমূলের এই উদ্যোগ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না।
দিলীপ ঘোষের 'স্বাধীন ভারত অমর রহে' স্লোগান! ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর