অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে কী করে চলবে দল, কে চালাবেন! জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে কী করে চলবে দল, কে চালাবেন! জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
বীরভূমের বেতাজ বাদশা তিনি। কোনও মন্ত্রী নয়, সাংসদ বা বিধায়ক কিছুই নন তিনি। কিন্তু তিনিই কাণ্ডারি। বীরভূম তৃণমূলের তিনিই শেষ কথা। একজন জেলা সভাপতি হিসেবে তাঁর দাপট ছিল একেবারেই ভিন্ন রকম। এহেন অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় সিবিআই জালে এখন। তাঁর অনুপস্থিতিতে কী করে চলবে দল, তা নিয়েই বৈঠকে বসতে চলেছে দল।
অনুব্রত নিয়ে বৈঠকে তৃণমূল
অনুব্রত মণ্ডল নেই, এখন কী করে চলবে দল। কোন পথে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির মোকাবিলা করবে তৃণমূল। তা নিয়েই জেলায় বৈঠকে বসতে চলেছে নেতৃত্ব। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী ও বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ। উপস্থিত থাকবেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন অন্যান্য বিধায়ক ও সাংসদরা।
কার উপর দায়িত্ব অনুব্রতর পরিবর্তে
বোলপুরের জেলা পার্টি অফিসে বৈঠকে চূড়ান্ত হবে রূপরেখা। তারপর তা রাজ্য তৃণমূলের অনুমোদন জন্য পাঠানো হবে। দলীয় সংগঠনকে কীভাবে মজবুত করা যায়। তা নিয়েই মূলত বৈঠক। অনুব্রত মণ্ডলের মতো হেভিওয়েট নেতা নেই, যিনি তাঁর গ্রিপে এতদিন রেখেছিলেন পুরো দলটাকে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল সর্বত্রই। তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে কার উপর দায়িত্ব বর্তাবে দল পরিচালনার, সেদিকের তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের কী অবস্থান অনুব্রতকে নিয়ে
অনুব্রত মণ্ডলকে এখনই সরানোর পরিকল্পনা নই তৃণমূলের। কেননা অনুব্রত মণ্ডল এমন একজন নেতা, তিনি জেলা সভাপতি দলের সংগঠন ও কাজকর্ম নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। বুথ থেকে পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা সর্বত্রই তিনি এমনভাবে দল সাজিয়েছিলেন, যে তাঁকে ছাড়া দল পরিচালনা খুবই কঠিন। এই অবস্থায় তৃণমূল কী অবস্থান নেয়, সেটাই দেখার।
নতুন জেলা সভাপতি! তৃণমূল পক্ষপাতী নয়
তৃণমূল বীরভূমের জেলা সভাপতি হিসেবে এখনও অনুব্রতকে রেখে দেয়, নাকি অন্য কাউকে এই দায়িত্ব দেয়, তা জানা যাবে এদিন বৈঠকের পর। তৃণমূল আপাতত অনুব্রতকে জেলা সভাপতি রেখে দিয়েই বিকল্পের কথা ভাবছে। উজ্জ্বল বা পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কাউকে ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হলেও জেলা সভাপতি করার পক্ষপাতী নন অধিকাংশই।
অনুব্রত মণ্ডলের ভরসায় থাকবে তৃণমূল
অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে দল সাজিয়েছেন, তাতে যে কেউ সেখানে মানানসই হবে না। অনুব্রত সিস্টেমের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন এমন কাউকে চাই। তেমন কোনও নেতা খুঁজে পাওয়া ভার। আবার পক্ষান্তরে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। অনুব্রত মণ্ডল এখন কবে মুক্ত হবেন, তার উপর ভরসায় থাকা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর অনুব্রত মণ্ডলের খামারবাড়ির হদিশ বোলপুরে, কী রয়েছে সেখানে