বন্দিদশা থেকে জামিন পেলেও ‘মুক্ত’ নন তাপস, শয্যাশায়ী সাংসদ হাসপাতালে
গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা-সাংসদ তাপস পাল। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগে চিকিৎসক মহল। সেই কারণেই তাপস পালের চিকিৎসায় তড়ঘড়ি গড়া হয়েছে মেডিকেল বোর্ডও।
ওড়িশার আদালত থেকে জামিন পেলেও তাপস পালের 'বন্দিদশা' কাটছে না কিছুতেই। জামিন মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তিনি শয্যাশায়ী। গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা-সাংসদ তাপস পাল। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগে চিকিৎসক মহল। সেই কারণেই তাপস পালের চিকিৎসায় তড়ঘড়ি গড়া হয়েছে মেডিকেল বোর্ডও। শুক্রবার তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসেছে।
[আরও পড়ুন: জিডি বিড়লা-র ছায়া, কারমেলে ক্লাস টু-এর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, দেখুন ভিডিও]
ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে তাপস পালকে যখন ছুটি দেওয়া হয়, তখন তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। ফেরার পথে তিনি জানান, কলকাতায় ফিরছি এতদিন পর, খুব ভালো লাগছে। কলকাতায় ফিরে চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন কবে অভিনয়ে ফিরবেন। সেইসঙ্গে তিনি জানানা, অভিনয় ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না, তাই অভিনয়ে ফিরবেনই, তবে সেটা কবে সম্ভব হবে তা নির্ভর করছে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার ওপর।
তাপস পাল ছাড়া পেয়ে কলকাতার বাড়িতে আসার পরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেননি। তিনি হাঁটা-চলা করতে পারছিলেন না। তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডা. শুদ্ধকল্যাণ পালের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
হাসপাতালের সিইও প্রদীপ ট্যান্ডন জানিয়েছেন, ডায়াবেটিসের কারণে সাংসদ তাপস পাল নিউরোপ্যাথির শিকার হয়েছেন ডায়াবেটিসজনিত অন্যান্য সমস্যাও রয়েছে তাঁরা। বৃহস্পতিবার তাঁর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এরপর মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সাংসদের চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল। এই মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট ও জেনারেল ফিজিসিয়ানরা। তাঁরা তাপস পালের শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বসেন এদিন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় সাসংদ অভিনেতা তাপস পালকে। গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর ১ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পান। ১ কোটি টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফেরেন। সেই সময় তিনি দেশবাসীর কাছে করজোড়া ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। বলেন- 'ভুল করিনি, একটা ভুল কথা বলে ফেলেছিলাম, তার মাশুল দিতে হল।'