বিজেপিতে যাওয়া দুই সাংসদের সদস্যপদ খারিজের দাবি, ফের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিজেপিতে যাওয়া দুই সাংসদের সদস্যপদ খারিজের দাবি, ফের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দলে বেসুরো হওয়া দুই সাংসদের সদস্যপদ খারিজের দাবি নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ (loksabha speaker) ওম বিড়লাকে (om birla) ফোন তৃণমূল (trinamool congress) সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (sudip banerjee)। অভিযোগ এঁদের একজন বিধানসভা নির্বাচনে সরাসরি বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন, অন্যজন বিজেপির মঞ্চে ছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, লোকসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন
দুই সাংসদের সদস্যপদ খারিজের দাবি নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের কথা বলেছিলেন। যদিও ভোট পরবর্তী সময়ে শিশির অধিকারী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেও সুনীল মণ্ডলের অবস্থান সম্পর্কে এখনও কিছু সামনে আসেনি। কেননা ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকা সুনীল মণ্ডল একটা সময়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আবার একইপথে তিনি ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন।
তৃণমূলের অভিযোগ
তৃণমূলের তরফে অভিযোগে বলা হয়েছে, সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাদের হয়ে প্রচারেও সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু শিশির অধিকারীর ক্ষেত্রে তা হয়নি। তৃণমূলের অভিযোগ, শিশির অধিকারী বিজেপির মঞ্চে ছিলেন। তাই তাই সাংসদের সদস্যপদ খারিজ করা হোক। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, একদলের সাংসদ হয়ে অন্যদলের মঞ্চে থাকাকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
শিশির অধিকারীর দাবি
শিশির
অধিকারী
এর
আগে
বিষয়টি
নিয়ে
জানিয়েছিলেন,
কাঁথিতে
অমিত
শাহের
মঞ্চে
উঠেছিলেন।
কিন্তু
বিজেপির
পতাকা
হাতে
নেননি
কিংবা
আর
কোনও
প্রচারেও
সামিল
হননি।
এদিনও
তিনি
বলেছেন,
সাংসদ
পদ
থেকে
ইস্তফা
দেওয়ার
মতো
কোনও
ঘটনা
ঘটেনি।
তিনি
কোনও
অন্যায়
কাজও
করেননি।
তাই
তিনি
ইস্তফা
দেবেন
না।
অধ্যক্ষের
সিদ্ধান্ত
তিনি
মানবেন
বলে
জানিয়েছেন
কাঁথির
সাংসদ।
ইয়াসের
পরে
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অভিযোগের
জবাব
দিতে
গিয়ে
শিশির
অধিকারী
বলেছিলেন,
তাঁদের
দলে
না
থাকায়
যা
খুশি
তাই
বলছেন।
দুর্নীতি
থাকলে
শিশির
অধিকারীকে
গ্রেফতারের
চ্যালেঞ্জও
তিনি
করেছিলেন।
খতিয়ে দেখা হবে, জানিয়েছেন অধ্যক্ষ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন লোকসভার অধ্যক্ষ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে। এব্যাপারে যে কমিটি রয়েছে, তারাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে। তবে বেসুরো হওয়া অপর সাংসদ তমলুকের দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান এখন স্পষ্ট নয়।
বাংলায় ভাইপোর ভয়ে থরথর করে কাঁপছে প্রশাসন! আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে সরব শুভেন্দু