দল ছাড়লেন সঞ্জয় বসু, 'জামিন পেয়েই ইস্তফা', যোগসূত্র গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল!
কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি : জামিন পাওয়ার একদিনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সৃঞ্জয় বোস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর সৃঞ্জয় বোসের
বৃহস্পতিবার তৃণণূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। পদত্যাগ করেন দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও। এদিন সকালেই দলনেত্রীকে লিখিতভাবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সৃঞ্জয় বোসের পদত্যাগে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। সরব হয়েছেন বিরোধিরাও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, তৃণমূলের সঙ্গে থাকাটা ভুল হয়েছে এতদিনে বুঝতে পেরেছেন সৃঞ্জয় বোস। তাই এই সঠিক সিদ্ধান্তটি তিনি নিয়েছেন। তৃঁঁলে থাকলে সম্মান থাকে না।
একই বক্তব্য অধীর চৌধুরির গলায়, তিনি বলেন, চোরেদের সঙ্গে থেকে সৃঞ্জয়কেও চোর হতে হয়েছে। আরও অনেকেই তো দল ছাড়তে চাইছে। আসলে তৃণমূল এখন ডুবন্ত জাহাজ। তাই সবাই ছেড়ে পালাচ্ছেন। এই মিছিলে যোগ দেওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য সারদা কাণ্ডে নাম জড়িয়ে জেলে যেতে হয় সৃঞ্জয় বসুকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সারদা মিডিয়ার সঙ্গে 'সংবাদ প্রতিদিন'-এর একটি চুক্তি হয়। বলা হয়, সারদা মিডিয়াকে সম্পাদকীয় সমর্থন (এডিটোরিয়াল সাপোর্ট) দেবে সৃঞ্জয়বাবুর পত্রিকা। বিনিময়ে তাঁকে প্রতি মাসে ৬০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। অভিযোগ, ওই টাকা ছাড়াও সুদীপ্ত সেনকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় সৃঞ্জয় বসু মোটা টাকা নেন। মিডল্যান্ড পার্কে সারদার অফিসে গিয়ে তিনি এবং কুণাল ঘোষ বারবার সুদীপ্ত সেনকে হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ।
বুধবারই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। বৃহস্পতিবারই দল ও রাজ্যসভার সাংসদপদ ছাড়ার তাঁর সিদ্ধান্তে স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে।
তৃণমূল অবশ্য এতে অন্য গন্ধ পাচ্ছে। তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, গতকালই জামিন পেয়েছেন সৃঞ্জয় বোস। আর আজই তড়িঘড়ি সাংসদ পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। দুটো ঘটনার মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে? একইসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সৃঞ্জয় বোস জাগো বাংলার সম্পাদক ছিলেন, তাঁর উপর বিজেপি সরকারের চাপ ছিল সৃঞ্জয়ের উপর।
সৃঞ্জয় বোসের পাশাপাশি অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এদিন দল ছাড়েন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন লকেট। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে ছাড়লেন রাজ্য কমিশনের সদস্যপদও।