মোদীর নির্দেশে রাজ্যের অফিসারদের বিচলিত করে প্রশাসনকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা! বিস্ফোরক সৌগত
আলাপন ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। কলাইকুন্ডাতে কেন প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আলাপণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না? তা নিয়ে কার্যত সংঘাত চরমে। আর এই ঘটনার পরেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে জরুরি তলব করা হয়।
আলাপন ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। কলাইকুন্ডাতে কেন প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আলাপণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না? তা নিয়ে কার্যত সংঘাত চরমে। আর এই ঘটনার পরেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে জরুরি তলব করা হয়। যদিও অবসর নিয়ে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা পদে রয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় ফের শোকজ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অবসরের পরেও কীভাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করতে পারে কেন্দ্র? তা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই প্রতিহিংসার রাজনীতি
ভোটের ফলাফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। আর এরপর থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল। এদিন আলাপন ইস্যুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে এই সমস্ত কাজ চলছে। কর্মীবর্গ মন্ত্রকটি পিএমও'এর মধ্যে। ফলে সবটা তাঁর নির্দেশে হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ। আর জেনে বুঝেই এভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি কেন্দ্রীয় সরকার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বর্ষীয়াণ এই সাংসদের।
অফিসারদের বিচলিত করার চেষ্টা
এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও এক মারাত্মক অভিযোগ তোলেন বর্ষীয়াণ এই সাংসদ। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে। আলাপণকে যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে তাতে রাজ্যের অফিসারদেরও ভীত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সৌগত রায়ের। আর অফিসার-কর্মীদের বিচলিত করে প্রশাসনকে দুর্বল করার সবরকম চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁর। তবে একজন আমলাকে ছাড়বে কি ছাড়বে না রাজ্য সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে দেওয়া রয়েছে। কেন্দ্র একক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলেও মন্তব্য দমদমের এই সাংসদের।
অবসরের পরেও শোকজ কীভাবে!
শুধু সৌগত রায় নন, আলাপন ইস্যুতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব আরেক সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও। তিনিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র কোনও আইণ মানছে না বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে একাধিক আইনের ধারা, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলসের বিভিন্ন অংশকে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, অবসরের পরেও কীভাবে একজন আমলাকে শোকজ করা যেতে পারে? তিনি তো এখন অবসর নিয়েছেন। ফলে কখনি শোকজ করা যায় না বলে দাবি সাংসদের। তবে এক্ষেত্রে আলাপনবাবু আদালতের দ্বারস্থ হবেন কিনা সেটি তাঁর সিদ্ধান্ত বলে দাবি সুখেন্দ শেখর রায়ের।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে মেজর পেনাল্টি প্রসেডিং শুরু করা হবে। যদি তাঁর এর বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকে, তবে ৩০ দিনের মধ্যে তা চিঠি দিয়ে জানাতে হবে। কেন্দ্রের তরফে কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, কোনও জবাব না পেলে আলাপনের বিরুদ্ধে তাদের মতো করেই ব্যবস্থা নেবে কর্মিবর্গমন্ত্রক। মুখ্য উপদেষ্টা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলল কর্মিবর্গমন্ত্রক। তাঁকে শোকজের চিঠি ধরিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলসের ৮ নম্বর ধারা মোতাবেক চিঠি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।