দিলীপের সঙ্গে সুকান্তর তুলনা! চোর-কটাক্ষের পাল্টা বেঁফাস মন্তব্যে ফের শিরোনামে সৌগত
ফের বেফাঁস মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান অধ্যাপক সৌগত রায়। তিনি এবার একযোগে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করলেন।
ফের বেফাঁস মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান অধ্যাপক সৌগত রায়। তিনি এবার একযোগে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করলেন। একইসঙ্গে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসকেও সাবধান করলেন সৌগত। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তিনি।
সৌগত রায় সম্প্রতি নানা বেফাঁস মন্তব্যে খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন বারবার। স্বভাবসিদ্ধভাবে পূর্বে তাঁকে এমন ধরনের মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান ওঠার পর এবং তৃণমূল নেতাদের চোর বলে কটাক্ষ শুরু হওয়ার পর থেকই সৌগত এক হাত নিচ্ছেন বিরোধীদের। দিলীপ ঘোষ বা সুকান্ত মজুমদার কাউকেই তিনি ছেড়ে কথা বলছেন না।
এতদিন দিলীপ ঘোষকে দেখা গিয়েছে নানা বেফাঁস মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অধ্যাপক মানুষ সৌগত রায়ও সুর চড়াচ্ছেন বেফাঁস মন্তব্যে। শনিবার ডানলপে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে সৌগত রায় বলেন, দিলীপ ঘোষ একজন এইট পাস নেতা। তিনি ফিটার মিস্ত্রি থেকে নেতা বনেছেন। তিনি না হয় নানা কুকথা বলতে পারেন। কিন্তু বোটানির অধ্যাপক হয়েও সুকান্ত মজুমদার মুখের ভাষাও ঠিক নেই।
এরপর বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে একই বন্ধনীতে রেখে নিশানা করেন সৌগত রায়। তিন বিরোধী দলকেই সাবধান করে দেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, তৃণমূলের সমস্ত নেতাকে উদ্দেশ্য করে চোর-চোর বলবেন না। তৃণমূলের সবাই চোর নয়। যাঁরা দুর্নীতি করেছে তাঁদের আমরা বার করে দেব দল থেকে। কিন্তু আপনারা যদি চোর চোর বলে তৃণমূলের সব নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তবে মানুষ আপনাদের জুতো পেটা করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তুলে ধরেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন, তার পর দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না।
একদিন আগে বরানগরের অনুষ্ঠানেও সৌগত রায় সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন একইভঙ্গিতে। তিনি বলেন, কিছু লোক দুর্নীতি করে তৃণমূলের বদনাম করেছে। আমি সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসকে বলছি আপনারা তৃণমূলের সবার দিকে তাকিয়ে চোর ধরো জেল ভরো বলবেন না। ভুলেও সবাইকে চোর বলে উত্যক্ত করবেন না। তৃণমূলের ৯৮ শতাংশ সৎ, ২ শতাংশ যদি দুর্নীতিপরায়ণ হয় আমরা তাদের বের করে দেব। কিন্তু আমাদের সবাইকে চোর বলে উত্যক্ত করলে তৃণমূল কর্মীরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না। আমরা রুখে দাঁড়ালে ওঁদের এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।
সৌগত
রায়ের
মন্তব্যের
কড়া
সমালোচনা
করে
বিজেপির
রাজ্য
সভাপতি
বলেন,
সবে
তো
খোঁজা
শুরু
হয়েছে,
এখনই
যদি
উনি
স্বীকার
করে
নেন
২
শতাংশ
চোর,
তাহলে
আগামী
দিনে
আরও
বড়ো
বড়ো
চোর
ধরা
পড়বেন।
যে
পার্টিতে
মহাসচিব
চোর
হন,
তবে
সেই
পার্টির
জামা-কাপড়
সব
খুলে
গিয়েছে,
সবাই
উলঙ্গ।
আগের
দিন
সৌগত
বলেছিলেন,
যাঁরা
উত্যক্ত
করছেন
তাঁদের
গায়ের
চামড়া
তুলে
পায়ের
জুতো
বানানো
হবে।
তার
পাল্টা
দিলীপ
ঘোষ
বলেছিলেন,
এ
ধরনের
মন্তব্য
করলে
ভবিষ্যতে
পাবলিকের
মার
আর
একটাও
বাইরে
পড়বে
না।
সিপিএম
নেতা
সুজন
চক্রবর্তী
বলেন,
সৌগতবাবু
একজন
অধ্যাপক
মানুষ,
তিনিও
যে
ভাষায়
কথা
বলছেন,
তা
তাঁকে
মানায়
না।
আসলে
তৃণমূলে
তাঁর
গুরুত্ব
কমছে,
তাই
এই
ধরনের
বেফাঁস
মন্তব্য
করে
প্রচারে
থাকতে
চাইছেন।