মমতার উল্টো সুর তৃণমূল সাংসদের গলায়, করোনা লকডাউন পরিস্থিতিতে ঘোরতর জল্পনা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশে তৃতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তা ভিন্ন অন্য কোনও পথ খোলা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশে তৃতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তা ভিন্ন অন্য কোনও পথ খোলা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও প্রধানমন্ত্র্রী সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রের লকডাউন ঘোষণার আগে ২১ মে পর্যন্ত সতর্কতা মেলে চলার বার্তা দিয়েছেন।
তৃতীয় দফায় লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করে দিয়েছে, ১৭ মে পর্যন্ত তৃতীয় দফায় লকডাউন পালিত হবে দেশে। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই তা নিয়ে আপত্তির সুর তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি ভিন্নমত পোষণ করে কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে।
কী কারণে লকডাউন বাড়ানো হল, প্রশ্ন সাংসদের
তৃণমূল সাংসদ বলেন, লকডাউন বাড়ানো নিয়ে আমাদের দলের তরফে কোনও আপত্তি নেই। তবে ঠিক কী কারণে লকডাউন বাড়ানো হল, তা জানা আবশ্যক। কেন্দ্রের নির্দেশিকায় তেমন ধরনের কিছু উল্লেখ নেই। কেন্দ্র স্পষ্ট করে জানাক সেই কারণ। একইসঙ্গে তাঁরা জানাক আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের কী মত!
অসংগঠিত ক্ষেত্র এবং কৃষিক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্ন
তিনি মনে করেন, কেন্দ্রের অবিলম্বে জানানো উচিত, অসংগঠিত ক্ষেত্রে এবং কৃষিক্ষেত্রে কোনও অনুদান দেওয়া হবে কি না। আমরা আদৌ জানি না কোনও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না, যার জেরে লকডাউন বাড়ানো হল। কেন্দ্র যদি বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে শুধু লকডাউন ঘোষণা করে দেয়, তাহেল তো সবাই অন্ধকারে থেকে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর থেকে ভিন্ন মত সৌগতর
মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণার আগে ২১ মে পর্যন্ত সচেতনতার বার্তা দেন। তারপরেও সৌগত রায়ের এহেন মতে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই বৈপরীত্যের কারণ কী। লকডাউন নিয়ে সরাসরি কোনও আপত্তি না জানালেও, অর্থনৈতকি পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে কেন্দ্রের কী পদক্ষেপ তা জানাই কি তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, ভাবছে রাজনৈতিক মহল।