'পরিযায়ী শ্রমিকরা জামাই আদর চাইলে মুশকিল', শতাব্দীর বক্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির
'পরিযায়ী শ্রমিকরা জামাই আদর চাইলে মুশকিল', শতাব্দীর বক্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির
রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের আগমন নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষে মমতা সরকার। এই ইস্যুতে বহুদিন ধরেই রাজ্য বনাম কেন্দ্র সংঘাত দানা বেঁধেছে। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ে বহুবার মুখ খুলে তৃণমূল নেতারা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শতাব্দী রায়।
'জামাই আদর' প্রসঙ্গ
বীরভূম তাঁর সংসদীয় এলাকা। সেখানে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছেছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। আর সাংসদকে পেয়ে সাংবাদিকরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রশ্ন করেন। যার জবাবে শতাব্দী জানান, ' বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নিয়ে ক্ষোভ থাকবেই, এত হাজার হাজার লোক তো.. সবাই জামাই আদর চান তাহলে মুশকিল।'
শতাব্দীর দাবি
বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জানান, ' ..মাছ দিলে বলছে, ডিম হয়নি, ডিম দিলে বলছে মাংস দেয়নি.. এখন তো বাঁচার লড়াই.. তো ক্ষোভ বিক্ষোভগুলো মানিয়ে নিতে হবে। ' তিনি বলেন, বহুদিন বাদে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসায় অস্থিরতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে, যেটা স্বাভাবিক।
বিজেপির দাবি
'ওর বক্তব্য বীরভূমের মানুষের কাছে অপমানজনক ও দুর্ভাগ্যজনক' , শতাব্দীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এভাবেই মন্তব্য করেন বিজেপির বীরভূমের প্রেসিডেন্ট শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি জানান, বীরভূমে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা শতাব্দী রায় ঠান্ডা ঘরে থেকে ঠান্ডা গাড়িতে থেকে বুঝতে পারছেন না।
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া
বিজেপির সরে সপর মিলিয়ে একইভাবে ঘটনার চরম নিন্দা করেছেন বীরভূমের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় অধিকারী। তিনি জানান, কংগ্রেসের তরফে এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করতে চান, তাঁরা পাশাপাশি শতাব্দীর কাছে পদত্যাগের দাবি তোলেন । কংগ্রেসের দাবি, লোকসবা ভোট জেতার পর বীরভূমের মাটিতে প্রায় পাইই রাখেননি শতাব্দী। ফলে এই অদক্ষতার জন্যই সাংসদের প দথেকে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
আম্ফানের ত্রাণ পৌঁছে দিলেন কংগ্রেস নেতারা