আজই দলত্যাগ মুকুলের, নাকি দল থেকে বহিষ্কার, উঠছে নানা প্রশ্ন
সম্ভবত সোমবারই দলত্যাগ করছেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। বেলা ১১ টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন তিনি। অপর দিকে তৃণমূলের তরফে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছে বেলা একটা নাগাদ।

সূত্রের খবর, এ মাসে তাঁকে ডাকা হয়েছিল তৃণমূল ভবনে। কিন্তু সেখানে না গিয়ে কখনও নিজাম প্যালেস কখনও পূর্ব কলকাতার আবাসনে সময় কাটিয়েছেন। তবে ঠিক সময় কাটানো বলা ভুল, এই সময়ের মধ্যে কোনও না কোনও ছক সাজিয়েছেন মুকুল রায়। আর জানিয়েছিলেন এ মাসেই যা হওয়ার হবে।
মুকুল রায় যে তৃণমূলে থাকছেন না সেটা অনেকটাই পরিষ্কার। তবে তিনি দল আগে ছাড়বেন নাকি দল তাঁকে তাড়াবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দলের তরফে প্রথমে সহ সভাপতির পদ, পরে একাধিক সংসদীয় কমিটির পদ থেকে গত মাসেই তাঁকে সরানো হয়েছে।
এরই মধ্যে দলের 'নজর'-এ থাকা মুকুল রায় রবিবার রাতে উত্তর কলকাতার রাজা রামমোহন রায় রোডে 'রামমোহন সম্মিলনী'র পুজো উদ্বোধনে গিয়েছিলেন। পুজোটি সাসপেন্ডেড তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের। সেখানে গিয়েও মুকুল রায় নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কখনও নাম করে, কখনও নাম না করে।
মুকুল রায় রামমোহন সম্মিলনীর পুজোর মঞ্চ থেকে নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রক্ষার অবদান কারও একার নয়। এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাচ্চা ছেলে বলেও কটাক্ষ করেন।
পুজো উদ্বোধনের পর সাংবাদিকরা মুকুল রায়ের গতিবিধির ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নজর রাখা নিয়ে প্রশ্ন করেন। সেই সময় মুকুল রায় বলেন, ও সব বাচ্চা ছেলে কী সব বলছে তাতে কিছু যায় আসে না।
অনুষ্ঠানে প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, তাঁর যে টুকু মনে হয়েছে, মুকুল রায়ে পথ হচ্ছে, বি ফর বাংলা, জে ফর জনগণ আর পি ফর পাশে আছি। আর এই মন্তব্যের পর মুকুল রায়ে গন্তব্য কি বিজেপি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
উভয় ক্ষেত্রেই মুকুল রায়ের বক্তব্য যে তৃণমূল ভাল চোখে নিচ্ছে না, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে তৃণমূলের তরফে ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে কী সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় এখন সেটাই দেখার।