বিজেপির হাতে রক্তাক্ত হতে দেবেন না পুরুলিয়াকে, তৃণমূল নেতৃত্বকে ‘হোম-টাস্ক’ সাংসদের
পুরুলিয়া ভালোবাসার জায়গা, এই পুরুলিয়াকে বিজেপির হাতে রক্তাক্ত হতে দেবেন না। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে কাতর আবেদন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মানস ভুঁইয়ার।
পুরুলিয়া ভালোবাসার জায়গা, এই পুরুলিয়াকে বিজেপির হাতে রক্তাক্ত হতে দেবেন না। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে কাতর আবেদন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মানস ভুঁইয়ার। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণ তুলে ধরে দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন নিজের চোখে দেখুন। রাতে বাড়ি ফিরে আয়নায় নিজের মুখটা দেখুন আর ভাবুন আমাদের নেত্রীর কথা।
মানস বলেন, ওই দেখুন আমাদের নেত্রীকে। মাত্র দেড়শো টাকার শাড়ি পরেন। একটা চপ্পল পরে ঘুরে বেড়ান। একেবারেই সাদামাটা জীবনধারণ করেন। তাঁকে দেখে শিখুন। এই দলটা তিনি প্রাণ দিয়ে করেছেন। মানুষের জন্য প্রাণপাত করছেন। কী করে বাংলার মানুষকে ভালো রাখা যায়, কী করে বাংলার উন্নয়ন ঘটানো যায়, এটাই তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টা।
এই অবস্থায় এমন কোনও কাজ করবেন না, যাতে জেলায় বিজেপির মতো হানিকর শক্তি ঘাঁটি গেড়ে বসে পড়ে। বিজেপির হাতে পুরুলিয়াকে রক্তাক্ত হতে দেবেন না। এদিন জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশ্য মানসবাবু বলেন, কর্মীদতের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় যান, খোঁজ খবর নিন, এমন কোনও বাড়ি আছে কিনা, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া পরিষেবা পৌঁছয়নি।
সেগুলো তালিকাবদ্ধ করার পাশাপাশি মানুষ ঠিকঠাক রেশন পাচ্ছেন কি না, তা খবর নিন। বিগত ছ-বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, সেগুলি মানুষের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছে দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ৪৭টি কর্মসূচি নিয়েছেন তা আপনারা জানেন।
তাহলেই এই জেলায় তথা রাজ্যে বিজেপি কোনও সুবিধা করতে পারবে না। তৃণমূলকে সচেতন থাকতে হবে। নিজেরা ঠিক থাকলে কারও সাধ্য নেই বিজেপিকে জেতানোর। আমরা উন্নয়নের মাপকাঠিতেই ফের রাজ্য জয় করব। এটাই আমাদের টার্গেট। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাব।