রক্তচোষা, পাগলা কুত্তা! নারদ কাণ্ডে ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে বেলাগাম কল্যাণ
রক্তচোষা, পাগলা কুত্তা! নারদ কাণ্ডে ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে বেলাগাম কল্যাণ
রাজ্যে রাজ্যপাল বদলের দাবিতে সোচ্চার হলেন তৃণমূল (trinamool congress) সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan banerjee)। এদিন তিনি নারদ কাণ্ডে দলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারির খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন নিজাম প্যালেসে। আদালতে সওয়াল করার আগে তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (jagdeep dhankhar) বেলাগাম ভাষায় আক্রমণ করেন।
মমতা প্রকৃতই ক্যাপ্টেন, মোদী সরকার করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর! শোভনের গ্রেফতারিতে বৈশাখী
পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনুমতি
নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিবিআই-এর তরফ থেকে জানুয়ারিতে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল সেই সময় অনুমতি না দিলেও, এই মাসের শুরুতে তার অনুমতি দেন। যেই সময় রাজ্যপাল অনুমতি দেন, সেই নতুন নতুন বিধানসভা গঠন হয়নি। ফলে স্পিকারও নেই। যা নিয়ে এদিন মন্তব্য করতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যপাল ওই অনুমতি দিয়েছেন।
শুভেন্দু-মুকুলের গ্রেফতারি না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন
এদিন তৃণমূলের অন্য নেতাদের মতোই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তোলেন, কেন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না? সিবিআই বিজেপির লোকেদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এদিন সিবিআই-এর তরপে জানানো হয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও পাওয়া যায়নি। সেই কারণে তৃণমূলের তিন সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
রাজ্যপালকে আক্রমণ
রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রক্তচোষা এবং প্রতিহিংসা পরায়ণ বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ কীভাবে জেলে পুরতে হয়, তার জন্য রাজ্যপাল ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ২০২৪-এ রাজস্থান থেকে টিকিট পেতে রাজ্যপাল ব্যস্ত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে সমর্থন করেছেন, তা রাজ্যপাল সহ্য করতে পারছেন না। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যে কোনও উপায়ে বিজেপিকে বাংলায় ক্ষমতায় তিনি আনবেনই।
রাজ্যপাল বদলের দাবি
বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কোনও উপায়ে রাজ্যপালের বদলের দাবি করেছেন তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই রাজ্যপালের এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। এই রাজ্যপাল পাগলা কুত্তার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত এদিন রাজ্যপাল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারির পরে রাস্তায় বিক্ষোভ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্কও করেছেন।