'অহঙ্কারে পতন অনিবার্য, শুভেন্দুকে লক্ষ্মণ শেঠের কথা স্মরণ করালেন কল্যাণ
'অহঙ্কারে পতন অনিবার্য, শুভেন্দুকে লক্ষ্মণ শেঠের কথা স্মরণ করালেন কল্যাণ
বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে লক্ষ্মণ শেঠের কথা মনে আছে। অহঙ্কারেই পতন হয়েছিল সিপিএমের দাপুটে নেতা। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর দাপটে ধুলিস্যাৎ হয়েছিল লক্ষ্মণ শেঠের সাম্রাজ্য। এখন শুভেন্দু নিজেই সেদিকে এগোচ্ছেন। পুরনো কথা শুভেন্দুকে স্মরণ করালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, সেই পরিণতির দিকেই এগোচ্ছেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কাঁথিতে এই লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়েই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি নির্বাতিক হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন সেই লক্ষ্মণ শেঠের পথেই শুভেন্দুর ঔদ্ধত্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই দলের উর্ধ্বে উঠে কাজ করার চেষ্টা করছেন তিনি। এমনই মন্তব্য করেছেন কল্যাণ।
লক্ষ্মণ শেঠের পরিণতির ইঙ্গিত
সিপিএমের দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠের পতন ঘটানোর মূলে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর আন্দোলনের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল লক্ষ্মণ শেঠের বেনাচাপড়া, গড়বেতা। শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে সেই লক্ষ্মণ শেঠের নাম করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অহঙ্কারে পতন হয়েছিল লক্ষ্মণ শেঠের। সেই দিকেই শুভেন্দুকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর অহঙ্কার।
লক্ষ্ণণ শেঠের পতন
গড়বেতার দাপুটে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের পতন ঘটিেয়ছিল তৃণমূল। বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে মূল অভিযু্ক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এখনও গড়বেতায় প্রবেশ করতে পারেননি। রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছিল লক্ষ্মণ শেঠ গড়বেতায় গেলে সেখানকার পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠবে। সেই লক্ষ্মণ শেঠকে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে গড়বেতায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। তার আগে সিপিএম তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। শুভেন্দুকে কী সেই পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর অহঙ্কার ইঙ্গিত করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর ঔদ্ধত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রাম আন্দোলন
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বামেদের মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই আন্দোলনে বড় ভূমিকা ছিল অধিকারী পরিবারের। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেই নন্দীগ্রামের আন্দোলন অন্য মাত্রা পেয়েছিল। কিন্তু সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন শুভেন্দু। সেটা খুব একটা সুবিধার মনে হয়নি শাসক দলের। তারপরেই শুভেন্দু রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ।
শুভেন্দুর পাল্টা আক্রমণ
শুভেন্দু অধিকারী আজ হুগলিতে সভা করে পাল্টা আক্রমণ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি আক্রমণ শানিয়ে বলেন, কোনও জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক আক্রমণের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই এই মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছেন! পিকে যা পারেননি, তা করে দেখালেন দুই বর্যীয়ান সাংসদ