হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদকে! ছাঁটাই শুধু সময়ের অপেক্ষা?
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদকে! ছাঁটাই শুধু সময়ের অপেক্ষা?
দরকার হলে দল ছেড়ে দিন, রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকারকে এমনটাই বলেছিলেন সৌগত রায়। এবার জল্পনা বাড়িয়ে দলের রাজ্যসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হল রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে। সূত্রের খবর, দলের তরফে তাঁকে পদত্যাগ করতেও বলা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। তাহলে কি তৃণমূল থেকে সাংসদকে ছাঁটার কাজ শুরু করে দিল শাসকদল। যদিও এই বিষয়ে একেবারে স্পিকটি নট জহর সরকার। তবে তৃণমূলের একটু সুত্র বলছে নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে তাঁকে যোগ করানো হবে। এর সঙ্গে তৃণমূল থেকে বার করে দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলেই জানাচ্ছে তৃণমূলের ওই সুত্রটি।
মুখ খোলেন রাজ্যসভার সাংসদ
নিয়োগ কেলেঙ্কারি সহ গরু-কয়লা পাচার নিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা শাসকদল তৃণমূলের। আর এর মধ্যেই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। যা নিয়ে একেবারে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এভাবে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুর মধ্যেই মুখ খোলেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা হয়। বলেন, কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে! কল্পনার অতীত। এমন দুর্নীতির দৃশ্য টিভিতে কম দেখা যায়। বন্ধু থেকে বাড়ির লোক রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে।
২০২৪ সালের লড়াই করা মুশকিল
শুধু তাই নয়, নাম না করে একাধিক নেতাকে ধান্দাবাজ সহ নানাভাবে আক্রমণ করে সাংসদ। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, পচা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালের লড়াই করা মুশকিল হবে। আর এরপরেই জগরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়। মনে জলে সাংসদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন সৌগত রায়। এমনকি নাম করে জহর সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তাপস রায়-সুখেন্দু শেখর রায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। আর সেই সময়ে ঘনিষ্ঠ মহলে সাংসদ জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বললেই নাকি ছেড়ে দেবেন।
গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়
আর এর মধ্যেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে। যদিও শুক্রবার রাতেই এই গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর সকালে সাংসদকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। আর এরপরেই তৃণমূল সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকি তৃণমূলও কি তাঁকে এবার ছেটে দেওয়ার পরকল্পনা শুরু করে দিল? এমন প্রশ্ন উড়িয়ে দিতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে এই বিষয়টিকে নিয়ে রাজ্য-রাজনিতিতে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। তবয়ে এই বিষয়ে রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
একের পর এক অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজু সাহানির মন্তব্য, 'আমি এসবের সঙ্গে যুক্ত নই'