রাহুলের দম নেই, মমতাই মোদীর বিকল্প, জাগো বাংলার প্রতিবেদনে তোলপাড় রাজ্য, কী বললেন অধীর
রাহুলের দম নেই, মমতাই মোদীর বিকল্প, জাগো বাংলার প্রতিবেদনে তোলপাড় রাজ্য, কী বললেন অধীর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে শোরগোল ফেেল দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ পত্র জাগো বাংলার প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একমাত্র বিকল্প হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাগো বাংলার এই প্রতিবেদনে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী যে পারেননি মোদীর মোকাবিলা করতে সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে আবার চটেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
জাগো বাংলার প্রতিবেদন
রাহুল গান্ধী পারেননি। মমতাই মোদীর বিকল্প। এই শিরোনাম দিয়েই জাগোবাংলায় প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে মোদীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু রাহুল গান্ধী তেমন করিশ্মা দেখাতে পারেন নি। বলা ভাল মোদীর জনপ্রিয়তার কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল রাহুলকে। তারপরেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রায় শূন্যে পৌঁছে গিয়েছিল গোটা দেশে। মোদী মুক্ত ভারত গড়ার স্লোগান পাল্টা কংগ্রেসের উপরেই পড়েছিল। তারপরেই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয় জাতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কয়েকগুন বাড়িয়ে গিয়েছিল। তারপরেই জাগো বাংলার এই প্রতিবেদন শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২১-র ভোটে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে গুরুত্ব পূর্ণ রাজনৈতিক দলের জায়গা করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোরেরে কূটনৈতিক পরামর্শে এখন জাতীয় রাজনীতিতে অনেকটাই দক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়েছেন মমতা তিনিই প্রথম দিল্লিকে গিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট করার বার্তা দিয়েছিলেন। কথা বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। যদিও বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কে থাকবেন তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। তবে সোনিয়ার থেকে মমতার জনপ্রিয়তা যে এবার বেড়ে গিয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রাহুলে অনাস্থা
কংগ্রেস ভবিষ্যতেন নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীকে প্রোজেক্ট করলেও দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলানোর ক্ষমতা যে রাহুল গান্ধীর নেই তা বারবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের পর রাহুলে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা। এবং একাধিক ক্ষেত্রে রাহুল গুরুত্ব পূর্ণ সময়ে দেশে ছিলেন না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিব। কংগ্রেসের অন্দরেই আদিনব্যের লড়াই চরমে উঠেছে। নবীন প্রবীণের লড়াইয়ে মধ্য প্রদেশ হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মত বড় নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহ বাড়ছে। দলকে এখনও সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত দক্ষতা রাহুল গান্ধীর তৈরি হয়নি।
মমতাই মুখ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার এই প্রতিবেদন যথেষ্ট তাৎপর্য পূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারন বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দিল্লিতে খেলা হবে স্লোগান উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী চাই বলে টুইটারে ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে। মমতার এই বিপুল জনপ্রিয়তা ছািপয়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তাকে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। সেই সমীকরণেই এবার ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু জাগোবাংলার এই প্রতিবেদন একেবারেই পছন্দ হয়নি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন কাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল দিচ্ছে তৃণমূল। দিবা স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।