'আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী তৃণমূল', ভারতের নেত্রী হিসাবে মমতাদিকেই মানলেন মুকুল
মানুষের বিপুল রায়ে ফের ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্যে বাংলার মসনদে তিনি। এবার লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখা। আর সেজন্যে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা
মানুষের বিপুল রায়ে ফের ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্যে বাংলার মসনদে তিনি। এবার লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখা। আর সেজন্যে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন দলের নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর তাই সর্বভারতীয় পদে বসেই অভিষেকের হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দেশের সব প্রান্তে পৌঁছে দেব। এবার সে কাজে অভিষেককে সাহায্য করবেন মুকুল।
তৃণমূল আগে থেকেই শক্তিশালী!
মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর আসাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসেনি। কারজ্যত হাবেভাবে এদিন বুঝিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, তৃণমূল এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। অর্থাৎ মানুষ যেভাবে তাঁদের ভোট দিয়েছে তাতে স্পষ্ট বাংলার মেয়েকেই চেয়েছে মানুষ। মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরাতে শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে এমন কথা ঠিক নয় বলেই ইঙ্গিত নেত্রীর। তবে আগে যে কাজ মুকুল করতেন দলের সাংঠনিক বিষয়টি দেখাশুনা সেটাই এখন চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূলে ফিরেই মুকুল রায় বলেন, ''বাংলাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন আমাদের নেত্রী, ভারতের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'' মুকুল সম্পর্কেও নিজের মূল্যায়ন স্পষ্ট করেছেন মমতা। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা মুকুল সম্পর্কে বলেন, ''ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড।'' একই সঙ্গে বলেন, ''মুকুল আগে যে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেন এখনও তাই করবেন।'' বলেন, ''বিজেপি থেকে বেরিয়ে এখানে এসে খুব ভাল লাগছে। পুরনোদের সঙ্গে দেখা হল।''
বিজেপি করতে পারলাম না
তবে কেন মুকুল রায় বিজেপি ছাড়লেন, তা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলেননি এই প্রবীণ নেতা। শুধু বলেন, ''বিজেপি করতে পারলাম না।করব না। তাই পুরনো দলে ফিরে এলাম। বাকি বিস্তারিত কারণ লিখিত ভাবে জানাব।'' তবে সেই লিখিত বিবৃতি কবে সামনে আনবেন সে সম্পর্কে কোনও ইঙ্গিত দেননি মুকুল। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর বিজেপি-তে ছিলেন মুকুল। কিছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। আর সেই দূরত্ব থেকেই দল ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল।
ঘরের ছেলে মুকুল!
তৃণমূলে যোগদানের পর তিনি বললেন, "বিজেপি থেকে বেরিয়ে খুব ভাল লাগছে। নতুন আঙিনায় এসেছি, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। আর এটা ভেবে ভাল লাগছে, বাংলা আবার তার নিজের জায়গায় ফিরবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা।" এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওর উপর অত্যাচার কম হয়নি। ওকেও বিভিন্ন এজেন্সি দেখিয়ে অনেক সময়েই ভয় দেখানো হয়েছে। দেখতাম শরীর ভালো নেই। মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। আর সেই কারণে মুকুলকে ফিরিয়ে নেওয়া। আর মুকুলও তৃণমূলে ফিরে মানসিক শান্তি পেল বলে মন্তব্য তৃণমূল নেত্রীর। শুধু তাই নয়, মুকুল রায়কে ঘরের ছেলে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
একুশের কুরুক্ষেত্রের আগেই কি চূড়ান্ত ছিল মুকুলের ঘরে ফেরা! জল্পনায় কিছু বিবৃতি