তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মমতাকে চিঠি দলীয় বিধায়কের, প্রশ্নে ঔদ্ধত্যের রাজনীতি
সাংসদ হওয়ার পর মহুয়া মৈত্র ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ করলেন দলেরই বিধায়ক। সাংসদের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত নন নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন এই মর্মে। এর ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

বিধায়ক কল্লোল খাঁয়ের অভিযোগ, মহুয়া মৈত্র কর্পোরেট কায়দায় দল পরিচালনা করছেন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সভানেত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু তিনি যেভাবে দল পরিচালনা করছেন এবং যে ব্যবহার করছেন, তাতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক।
এই ক্ষোভের নেপথ্যে মহুয়া মৈত্রের পাঠানে একটি চিঠি। তিনি ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিদের সাংগঠনিক বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি বলেন, ব্লক কমিটিগুলিকে ১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈঠক সারতে হবে। এবং অঞ্চল কমিটিগুলিকে ২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈঠক করতে হবে।
এই বৈঠকের দিনক্ষণ নিয়ে কোনও আপত্তি বা অনুযোগ নেই তৃণমূল বিধায়কের। তাঁর আপত্তি সাংসদের ভাষা প্রয়োগ নিয়ে। তিনি চিঠির শেষে লেখেন 'বাই অর্ডার'- মহুয়া মৈত্র। এই ভাষাতেই আপত্তি বিধায়কের। তিনি বলেন, যে ভাষায় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, তা কর্পোরেট সংস্কৃতি, এই সংস্কৃতি দলীয় নয়।
[আরও পড়ুন: মুকুল-দিলীপের শিকে ছিঁড়ছে না! মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নতুন মুখের সন্ধান বিজেপির]
তিনি লেখেন, তৃণমূল সবাই আন্তরিকতা দিয়ে দল করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনওদিনও তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এই ভাষায় কথা বলেননি। কিন্তু মহুয়া মৈত্র সাংসদ হয়েই ঔদ্ধত্যের কথা বলছেন। সাংসদের চিঠিতে লজ্জিত হয়েই তিনি পাল্টা চিঠি লেখেন পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
[আরও পড়ুন: জঙ্গি দমনে UAPA আইন নিয়ে মোদী সরকারকে নোটিস শীর্ষ আদালতের]