মমতাজ বেগমকে নিশানা তৃণমূল বিধায়কের! আড়াই বছরের হিসেব চেয়ে তোপ
মমতাজ বেগমকে নিশানা তৃণমূল বিধায়কের! আড়াই বছরের হিসেব চেয়ে তোপ
একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বেসুরো বাজছেন তৃণমূলের বিধায়করা। আর কোচবিহার এই ব্যাপারে অগ্রণী। একের পর এক বিধায়ক জল্পনা বাড়িয়ে চলেছেন। বিতর্কিত কথায় বিপাকে ফেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। এবার দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিধায়ক উদয়ন গুহ।
উদয়নের বিতর্কিত মন্তব্যে ফের জল্পনা
কিছুদিন আগেই দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন ভরা কর্মিসভায় এক মন্তব্য করে। তিনি বলেছিলেন, ছ-মাস খাওয়া বন্ধ রাখুন। অন্তত ছ-মাস খাওয়া বন্ধ রাখলে আরও সুযোগ পাবেন। আর খেলে আপনি ভবিষ্যতে আর সুযোগ পাবেন না। পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিদের সেই বার্তা দেওয়ার পর ফের তিনি সরব হলেন।
প্রকাশ্য সভায় তোপ হুমায়ুন-মমতাজকে
আবারও প্রকাশ্য সভায় তিনি সরব হলেন। কর্মিসভা থেকে তিনি নাম না করে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হুমায়ুন কবীর ও তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ বেগমকে একহাত নেন। হুমায়ুনের সঙ্গে উয়দনের বিবাদ সর্বজনবিদিত। সেই বিবাদ ফের চরমে উঠল একুশের নির্বাচনের আগে।
হুমায়ুন কবীরকে পাল্টা উদয়নের
উদয়ন গুহ বলেন, কমতে কমতে শুধু নয়ারহাটে এসে দাঁড়িয়েছেনম। নয়ারহাটের কর্মিসভায় আপনার থাকার সুযোগ রয়েছে। বাইরে কোথাও থাকার সুযোগ নেই। আর এখানেই যদি উপস্থিত না থাকবেন, তবে রাজনীতি করবেন কোথায়? কয়েকদিন আগে হুমায়ুন কবীর উদয়নকে নিশানা করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এদিন তার জবাব দিলেন উদয়ন।
পঞ্চায়েত সদস্যদের আড়াই বছরের টাকার হিসেব
উদয়ন আরও বলেন, কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েত সদস্যদের আড়াই বছরের টাকার হিসেব দিতে বলেছিলাম। তাই কোনও পঞ্চায়েত সদস্য সাহস করে আসেননি এই কর্মিসভায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধায়কের এই বার্তা তৃণমূলের গোষ্ঠীকেন্দল এবং দুর্নীতি একসঙ্গে সামনে এনে দিল।
উদয়নকে জবাব হুমায়ুন-পত্নী মমতাজ বেগমের
বিধায়কের এই বার্তায় জবাব দিয়েছেন হুমায়ুন-পত্নী মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, আমদের ডাকা হয়নি। ফলে যাওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথায়। কিন্তু এই ধরনের কথা বলে অহেতুক বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি সেই ফায়দা তুলবে।
বিজেপি ফায়দা লুঠছে তৃণমূলের কোন্দলে
এর আগে বিধায়কের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে জেলা বিজেপি সভাপতি মালতি রাভা বলেছিলন, বিধায়ক স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বা অঞ্চল সভাপতিরা দুর্নীতিতে জড়িত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতি করলে সাধারণ মানুষ পাশে থাকবে না। তাই ৬ মাস কাজ করে পরের পাঁচ বছর লুটের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। মানুষ সব বোঝে, উত্তর পেয়ে যাবে তৃণমূল।
বাংলায় বিজেপির মুখ কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প হিসেবে যা বললেন শাহ