মুখে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা! ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক
শুভেন্দু অধিকারীর (subhendu adhikari) প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনেকেই। সেই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক (trinamool congress) থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরা। এমনই একজন হলেন, ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। প্রসঙ্গত তিনিও দলের মধ্যে প্রশান্ত কিশোরের কাজের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন।
রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাহুল! কোন দাবি উঠল, রাহুলই বা কী বললেন

শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা
শীলভদ্র দত্ত বলেছেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ফ্যান হয়ে গিয়েছেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে তিনি যা করেছেন, তা সঠিক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী বেশ কয়েকটি জেলার ভাল সংগঠক। তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতার মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়াটা রাজ্যের মানুষের স্বার্থে ক্ষতি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেছিলেন শীলভদ্র দত্ত। শুভেন্দু অধিকারী রাজনীতির সম্পদ, বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর মতো তিনিও বলেছিলেন, সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতেই তিনি ওপরে উঠেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছেন কাউকে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শীলভদ্র দত্তের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী হয়ত ভাল কাউকে পেয়ে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে দেওয়া দফতরগুলি মুখ্যমন্ত্রী আপাতত নিজের হাতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন রাজ্যপালও।

পিকেকে নিয়ে কটাক্ষ
এই মাসের শুরু থেকেই পিকেকে নিয়ে সরব শীলভদ্র দত্ত। তিনি বলেছিলেন, বাংলার রাজনীতিতে পিকের স্ট্র্যাটেজি যথার্থ নয়। বাংলা ও কেরলে আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় মন্তব্য করেন, আবেগকে বিক্রি করার অভিযোগও তিনি তুলেছিলেন। পাশাপাশি তিনি দলের পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে বাজারি কোম্পানি বলে আক্রমণ করেছিলেন। কটাক্ষ করে ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছিল, ভাড়া করা সংস্থা রাজনৈতিক জ্ঞান দিচ্ছে, রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে। যাঁরা রাজনীতিই করেনি, তাঁরা রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে, এটাই মানতে পারছেন না শীলভদ্র দত্ত। একটা বাজারি কোম্পানি টাকা নিয়ে ভোট করাতে এসে রাজনৈতিক জ্ঞান দিচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।

অবস্থান নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য
তাঁর কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, তাহলে কি তিনি বিজেপির পথে। এব্যাপারে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎই বলবে, তিনি কোন দিতে যাবেন। তবে শীঘ্রই সরকারের দেওয়ার নিরাপত্তারক্ষী তিনি ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ। তবে ২০১৫-তে একবার বিদ্রোহ ঘোষণা করেও তৃণমূলে থেকে যান এবং ২০১৬-র নির্বাচনে জেতেন। তৃণমূলের টিকিটে যে তিনি আর দাঁড়াচ্ছেন না, তা তিনি মাস দুয়েক আগে অন অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।
