বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে দলের নেতারাই! বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের
সম্প্রতি রাজ্যে গরু পাচার সহ আলকায়দা জঙ্গিযোগের জেরে তোলপাড় হয়েছে রাজনৈতিক আঙিনা। রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের ইস্যুটি। এর মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার অনুপ্রবেশের বিষয়টি মানতে নারাজ। তবে এবার দলের অন্দরেই এই ইস্যুতে অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী।
অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ তৃণমূল বিধায়কের
প্রসঙ্গত, পার্টি লাইন থেকে সরে এসে এবার রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। মমতার সরকারের বিরুদ্ধে যখন বিরোধীরা বারবার অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ এনেছে, তখন তৃণমূল বিভিন্ন ছুঁতোয় বারবার পাল্টা কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিজেপিকে তোপ দেগেছে।
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে যখন আলকায়দা জঙ্গিদের ধরা হয়েছিল, তখনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির কথা না ভেবে শাসক দলকে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের দিকে কাদা ছুঁড়তে। ফিরহাদ হাকিমকে সেই সময় উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের এনকাউন্টার প্রসঙ্গ তুলে ভিত্তিহীন তুলনা টানতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির বিরুদ্ধে।
অস্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী?
তবে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস যতই অস্বীকারের চাদর জড়িয়ে থাকুক না কেন, কঙ্কাল যে বেরিয়ে পড়ছে তা জানে দলের উচ্চস্তরে বসে থাকা নেতারাও। আর তাই অনুপ্রবেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাবকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করার পথেই হাঁটলেন শ্যামল মণ্ডল। শ্যামল মণ্ডলের অভিযোগ, এই অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে স্থান করে দিতে তৃণমূলেরই একাংশের যোগ রয়েছে।
দলের নেতারাই অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে
শ্যামল মণ্ডল আরও জানান যে এই মামলার তদন্ত হচ্ছে। যদি সত্যি প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে বসবাস করতে দলের একাংশ বা কোনও নেতা সাহায্য করছে, তবে সেই রিপোর্ট তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেবেন। তাঁর আরও অভিযোগ, এই সব অনুপ্রবেশকারীদের কাছে কোনও নথি নেই, কাগজ নেই, তাহলে কীভাবে এরা আসে এই দেশে? বিষয়টা পরিষ্কার করতে হবে।
সুন্দরবনের গাছ কেটে ফেলছে অনুপ্রবেশকারীরা
পশ্চিম ক্যানিংয়ের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা সুন্দরবন এলাকাতে ম্যাংগ্রোভের জঙ্গল সাফ করে দিয়ে সেখানে বসতি গড়ছে। এতে পরিবেশের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। এবং এই বিষয়ে তিনি রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। এদিকে শ্যামল মণ্ডলের এহেন অভিযোগের জেরে বিজেপির দাবি ফের প্রমাণিত হল। এমনটাই দাবি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র।