মানভঞ্জনে ব্যর্থ টিম পিকে, মিহিরের পথে পা বাড়াতে চলেছেন তৃণমূলের আরও এক বিধায়ক
মানভঞ্জনে ব্যর্থ টিম পিকে, মিহিরের পথে পা বাড়াতে চলেছেন তৃণমূলের আরও এক বিধায়ক
মিহির গোস্বামীর পথেই পা বাড়াতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। গত কয়েক মাস ধরেই মিহিরের সুরে সুর মিলিয়ে টিম পিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের মান ভাঙাতে মঙ্গলবার তাঁর বাড়িেত হাজির হয়েছিল টিম পিকে। তাই নিয়েও প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন ২০২১-র বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হবেন না।
শীলভদ্র কাঁটা
মিহির গোস্বামীর সুরে সুর মিলিয়েই দলে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। টিম পিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। দলের রাশ আর দলনেত্রীর হাতে নেই বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন ব্যরাকপুরের বিধায়ক। একাধিকবার এই নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন তিনি। পিকের আনুগত্য কিছুতেই তিনি স্বীকার করবেন না বলে ফুঁসে উঠেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। কর্পোেরট টিম দিয়ে রাজনৈতিক দল চালানো যায় না বলে অভিযোগ শানিয়েছিলেন শীলভদ্র।
শীলভদ্রের বাড়িতে টিম পিকে
ব্যরাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের একের পর এক মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক দলের। পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গল বার বিধায়কের বাড়িতে যান টিম িপকের ২ সদস্য। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর টিম পিকের সদস্য ব্যর্থ হয়েই এক প্রকার ফিরে যান। উল্টে আবারও প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শীলভদ্র দত্ত।
অসন্তুষ্ট শীলভদ্র
কোনওভাবেই শালভদ্র দত্তের মান ভঞ্জন করে উঠতে পারেনি টিম পিকে। পাল্টা অভিমানী বিধায়ক বলেছেন টিম পিকের বদলে দলের কেউ তাঁর বাড়িতে এলে ভালো হত। কাজেই এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিধায়ক কোনএভাবেই তাঁর মত পুরিবর্তন করবেন না। শীলভদ্র দত্ত এখনও নিজের ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন। কোনওভাবেই তিনি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।
বিজেপিতে মিহির
টিম পিকের হাতে দলের রাশ দেওয়া নিয়ে অনেক নেতা মন্ত্রীই প্রকাশ্যে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনিই প্রথম বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন টিম পিকে নিয়ে। সেই তালিকায় শীলভদ্র দত্ত ছাড়াও রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দ্ু কিছুতেই পিকে-কে মেনে নিতে চাইছেন না। তাই প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন তিনি।
একুশের আগে শিল্পবান্ধব মমতা! আরও জমি, নয়া কারখানা এবং কর্মসংস্থান বাংলায়