তৃণমূল বিধায়ক গুলিতে ঝাঁঝরা, সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান চলাকালীন নৃশংস খুন
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করা হয়।
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করা হয়। শনিবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নামতেই গুলি চলে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সত্যজিৎ।
এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মঞ্চ থেকে নামার পরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তিনি প্রথমে লুকিয়ে পড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পিছনে বিজেপি চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌরীশংকর দত্ত বলেন, সত্যজিৎ বিশ্বাস এলাকার দাপুটে নেতা ছিল, দক্ষ সংগঠক। মতুয়া সংঘের সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল। তাঁর জন্যই বিজেপির মুকুল রায়, শান্তনু ঠাকুররা প্রভাব বিস্তার করতে পারছিলেন না এলাকায়। তাই তাঁকে পরিকল্পনা করে সরিয়ে দেওয়া হল। নদিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি দায়ী করলেন বিজেপিকে। তিনি রবিবার লকালেই নদিয়ায় যাবেন বলেও জানান।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের দিকে। তিনি বলেন, তৃণমূলের সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। একজন জনপ্রতিনিধি খুন হচ্ছে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে, এ ঘটনা সচরাচর ঘটে না। যেই এই ঘটনার মধ্যে থাকুক তাঁকে খুঁজে বের করা হোক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক, আমরা সমস্তরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত।