চিঁড়ে ভিজল না মিহিরের কাছে, অবস্থানে অনড় কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক
সিদ্ধান্তে অনড় মিহির। দলের কাছে নিজেরে অপরিহার্য ভাবতে চান না। সাফ জানালেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পরেও তিনি কোনও রকম সিদ্ধান্ত বদল করতে রাজি নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও দুই নেতার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। আগেই মিহির দল পরিচালনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দলে আর ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

মিহির অস্বস্তি
ক্রমণ গাঢ় হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে দলীয় কোন্দল। প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীরা বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। পিকের কাছে দল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া কিছুতেই মেনে নিতে রাজি নন তিনি। এই নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে মিহির লিখেছিসেন দলের রাশ আর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই।

তৃণমূলে থাকব না
কোচবিহারে ফিরেই মিহির গোস্বামী ঘোষণা করেছিলেন কিনি কিছুতেই আর কোচবিহারে থাকবেন না। তবে বিধায়ক িহসেবে কাজ করে যাবেন। যদি অমিত শাহ ডাকেন তাহলে অবশ্যই যাবেন। অমিত শাহের ডাক এখনও পর্যন্ত না পেলেও। তিনি সরাসরি বিজেপিতে যাওয়ার বিষয়ে ধোঁয়াশা রেখে গিয়েেছন।

মিহিরের বাড়িতে নিশীথ
দিন কয়েক আগেই বিজয় করতে মিহিরের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক। দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছিল দুই নেতার মধ্যে। তার পরেই মিহিরের বিজেপিয়ে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও বিধায়ক দাবি করেছিলেন তিনি পুরনো দিনের সহকর্মী ছিলেন। একই দল করতেন তাই বিজয়া করতে এসেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক।

অনড় মিহির
মিহিরের জেদ ভাঙাতে শেষে দলীয় নির্দেশ মেনে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দুই নেতার মধ্যে ৪০ মিনিট বৈঠক হলেও চিঁড়ে ভেজেনি। নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন মিহির। তিনি জানিয়েছেন, নিজেরে দলের অপরিহার্য মনে করেন না। কাজেই তাঁর দলে ফেরার কোনও প্রশ্ন ওঠে না । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুখে তৃণমূলে না থাকার কথা বললেও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও পদত্যাগ পত্র মিহির নেত্রীর কাছে পাঠাননি এবং বিধয়ক পদ ছাড়ার বিষয়েও কোনও কথা বলেননি। এই নিয়ে শাসক দলের অন্দরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

শুভেন্দুকে নিয়ে মমতাকে রিপোর্ট! দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সৌগত জানালেন সম্ভাবনার কথা