শুভেন্দুকে 'বার্তা' দিয়েও ফের বেসুরো জিতেন্দ্র! ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার প্রতিক্রিয়ায় জল্পনা তুঙ্গে
বিদ্রোহ করেও দলে থেকে গিয়েছেন। ফের প্রশংসা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। কিন্তু পদ যেমন ফিরে পাননি, ঠিক তেমনই তাঁকে কোনঠাসা করার চেষ্টা হয়েছে। এবার কার্যত তারই বিরুদ্ধে মুখ খুললেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (jitendra tiwari)।

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে
নিজের বিধানসভা পাণ্ডবেশ্বরের বাঁকোলা এলাকায় বস্ত্র বিতরণের এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তাঁরও ধৈর্যের একটা সীমা আছে। কিন্তু সেই সীমা ভেঙে গেলে অনেকের অসুবিধা হতে পারে। হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, দেওয়ালে পিছ ঠেকলে তাঁর প্রতিক্রিয়া হবে ভয়ঙ্কর। এরপরেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

দলত্যাগ করেও ফিরে এসেছিলেন জিতেন্দ্র
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রশাসনিক ও দলীয় পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তিনি ফিরে যান দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। যদিও দলের অভ্যন্তরেই তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁকে অনেকেই এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না।

বাধা যখন নিজের এলাকাতেই
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জিতেন্দ্র তিওয়ারির দলে ফেরত গেলেও, দলের প্রাত্যহিক কাজে পুরোপুরি ফেরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জিতেন্দ্র তিওয়ারি যেদিন জেলার সভাপতি এবং আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেইদিনই পাণ্ডবেশ্বরে বিশাল মিছিল করে এলাকায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি। একদিকে যেমন সেই সময় বিধায়কের কুশপুতুল দাহ করে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই এলাকায় ঢুকলে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এই বার্তার পিছনেও যে রাজ্যের নেতারা রয়েছেন, নিজের বিধায়ক কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর সেই অভিযোগও করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

ফিরে পাননি পদ
ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁকে কোনও কমিটিতেই জায়গা দেওয়া হয়নি। এরপরেই তিনি টুইট করে বলেছিলেন পরিস্থিতি যখন কঠিন হয়ে ওঠে, তখন এগিয়ে চলার জন্য নিজেকে আরও শক্ত হতে হয়। ফলে তৃণমূলে যে পরিস্থিতি তাঁর জন্য এখনও কঠিন তা দিন কয়েক আগেই জানান গিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁকে কোণঠাসা করার চক্রান্তের অভিযোগ দলের অভ্যন্তরে করেছেন। পাশাপাশি তা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন। তবে তার ফল এখনও পাননি। সেই পরিস্থিতিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। তবে একইসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন পাণ্ডবেশ্বরের এই একই অনুষ্ঠান থেকে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে বলেছেন, মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়া।

নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে একুশের ভোটে মমতাকে 'ভোকাট্টা' করার চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর