বিজেপি নেতার মেয়েকে অপহরণে তৃণমূল বিধায়ককে তাড়া, প্রাণ বাঁচাতে লুকোলেন থানায়
বিজেপি নেতার অপহৃত মেয়ের কোনও সন্ধান মেলেনি দুদিন কেটে গেলেও। তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে উত্তপ্ত লাভপুর আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল তৃণমূল বিধায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর।
বিজেপি নেতার অপহৃত মেয়ের কোনও সন্ধান মেলেনি দুদিন কেটে গেলেও। তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে উত্তপ্ত লাভপুর আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল তৃণমূল বিধায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর। বিক্ষুব্ধ জনতা তৃণমূল বিধায়ককে তাড়া করে। তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে প্রাণ বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিতে হয় থানায়। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাধে।
লাভপুরের বিধায়ক দলীয় নির্দেশ পেয়ে বিক্ষোভ প্রশমনে এসেছিলেন। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছিল অবরোধ। সেখানে বিধায়ক পৌঁছলে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি। অভিযোগ শারীরিকভাবেও নিগৃহীত হতে হয় তাঁকে। এরপর প্রাণ বাঁচাতে তিনি ছুটে থানায় ঢুকে পড়েন।
বিধায়ককে তাড়া করে থানায় পৌঁছে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপর থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। থানা থেকে দীর্ঘক্ষণ বের হতে পারেননি শাসক দলের বিধায়ক। এরপর পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট ছুটে আসে। তারপর পুলিশের প্রতিরোধে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তায় বাড়ি ফেরেন বিধায়ক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালের বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের কপালে পিস্তত ঠেকিয়ে তাঁর মেয়েখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ লাভপুর-কাটোয়া রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় অবরোধ।
এদিন তৃণমূল বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। বিজেপিই এই বিক্ষোভ-অবরোধে মদত দিচ্ছে। জনতার বিক্ষোভ বলা হলেও এর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির মদত। বিধায়কের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে থানায়।