বিজেপির অনুষ্ঠানে হাজির তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক, একুশের আগে জল্পনা তুঙ্গে
বিজেপির অনুষ্ঠানে হাজির তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক, একুশের আগে জল্পনা তুঙ্গে
২০২১-এর আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের খেলা চলছে। কে কখন কোন শিবিরে যোগ দেন, তা নিয়ে নিত্য জল্পনা তৈরি হচ্ছে। নতুন নতুন সেই জল্পনায় নবতম সংযোজন তৃণমূলের এক হেভিওয়েট বিধায়ক। তিনি আবার পুরসভার প্রশাসকও। সঙ্গে সঙ্গেও তাঁকে নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ল। বিজেপির অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক হাজির হলে তো জল্পনা হবেই
বিজেপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৃণমূল বিধায়ক
মালদহে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণানুষ্ঠানের মঞ্চে হাজির হন তৃণমূলের বিধায়ের নীহাররঞ্জন ঘোষ। বিজেপির অনুষ্ঠানে ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতি নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। তবে কি তৃণমূল বিধায়ক এবার দল পরিবর্তন করতে চলেছেন? তিনি কি বিজেপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলকে প্রাথমিক বার্তা দিলেন?
বিজেপি জেলা সভাপতির পাশের চেয়ারে তৃণমূল বিধায়ক
বিজেপির অনুষ্ঠান। সেখানে হাজির মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেল মুর্মু, রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীরা, সেখানে কেন গেলেন তৃণমূল বিধায়ক নীহীররঞ্জন ঘোষ। তিনি আবার বসলেন বিজেপি জেলা সভাপতির পাশের চেয়ারে। জল্পনার পারদ কিন্তু বেড়েই চলেছে তাঁর এই পদক্ষেপে।
বিজেপির মঞ্চে গিয়ে তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণ অনুষ্ঠানে নীহাররঞ্জন ঘোষের উপস্থিতি তাঁর দলবদল নিয়ে চর্চা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক। নীহারবাবু বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন কি না তাঁর জানা নেই। তাঁকে আমি বাঙালি হিসেবে শ্রদ্ধা করি। সেই কারণেই তাঁকে পুরসভার পক্ষ থেকে সম্মান জানাতে গিয়েছি।
তবে কি শিবির বদলাতে চাইছেন বিধায়ক
নীহাররঞ্জন ঘোষের এই যুক্তি অবশ্য ধোপে টিকছে না। পুরসভার পক্ষ থেকে তিনি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তিনি একা কেন, অন্য় কোনও তৃণমূল নেতা তো গেলেন না। তবে কি এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে তিনি এখন শিবির বদলাতে চাইছেন।
পরিস্থিতি বুঝে বিধায়ক দল বদলেছেন আগেও
এর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। হারিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে। তারপর তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ পরিস্থিতি বুঝে তিনি দল বদলেছেন আগেও। এবারও পরিস্থিতি বুঝে তিন দল বদলাতে পারেন। এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে নীহাররঞ্জনের পদক্ষেপে।
শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা! বিক্ষোভে নেতৃত্ব সৌমিত্র, লকেটের