আফরাজুল খানের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল, তুলে দেওয়া হল সাহায্য, গেল কংগ্রেসও
রাজস্থানের লাভ জেহাদির বলি আফরাজুল খানের বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের সাংসদ ও মন্ত্রীরা। মালদহের কালিয়াচকের বাড়িতে যান তাঁরা। তুলে দেওয়া হয় আর্থিক সাহায্য। যান প্রদীপ ভট্টাচার্য ও অধীর চৌধুরীও।
রাজস্থানের লাভ জেহাদির বলি আফরাজুল খানের বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের সাংসদ ও মন্ত্রীরা। মালদহের কালিয়াচকের সৈয়দপুরের বাড়িতে যান তাঁরা। পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় আর্থিক সাহায্য। সকালে সেখানে যান কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।
ঘটনার সমালোচনা
বৃহস্পতিবার রাজস্থানে কুপিয়ে-জ্বালিয়ে দেওয়া আফরাজুল খানের কথা সামনে আসে। কর্মসূত্রে প্রায় ২০ বছর রাজস্থানে থাকা মিনা রানি নামে এক মহিলার সঙ্গে আফরাজুলের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। রানিকে আফরাজুল বিয়ে করেন বলেও অভিযোগ। সেই কারণেই শম্ভুলাল রেগার আফরাজুলকে খুন করেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আফরাজুলের পরিবার। বৃহস্পতিবারই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমালোচনায় সরব হয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরাও।
পাশে থাকার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী
শুক্রবার পরিবারের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাস দেওয়ার সঙঅগে জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের তরফে ৩ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হবে। তিন সাংসদ ও দুই মন্ত্রীকে আফরাজুলের বাড়িতে পাঠানোর কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
আফরাজুলের বাড়িতে তৃণমূল সাংসদ ও মন্ত্রীরা
শনিবার কালিয়াচকের সৈয়দপুরে আফরাজুল খানের বাড়িতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং ফিরাদ হাকিম। গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা।
পরিবারকে আর্থিক সাহায্য
আফরাজুল খানের স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সরকারের তরফে তিনলক্ষ টাকার চেক। দেওয়া হয় বিধবা ভাতার নথিও। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুলক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও তুলে দেওয়া হয়।
বাড়িতে প্রদীপ ভট্টাচার্য ও অধীর চৌধুরী
শনিবার সকালে রাজস্থানে কুপিয়ে-জ্বালিয়ে খুন করা আফরাজুল খানের বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও। পরে সেখানে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।
এদিকে, অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চালাচ্ছে রাজস্থান পুলিশ। কী কারণে এই নৃশংস খুন তা নিয়ে এখনও কারণ খুঁজে বেরাচ্ছে তারা।